ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঠার উপজেলার নুরপুর গ্রামের সেলিম মিয়া, মাদক মামলার আসামি স্থানীয় এমপি সদস্য ও সেচ্ছাসেবক নেতা মো. হান্নান মাত্র ৫০০ টাকার লোভ দেখিলে বদলি আসামি হিসেবে হাজিরা দেয় আদালতে। আইনজীবীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন জামিন হবে, কিন্তু তা হয়নি, পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে। ভিন্ন মামলা হাজিরা বেগম
টাকার লোভে তিনিও আরেক মাদক ব্যবসার আসামি সুভা বেগমের হাজিরা দেন আদালতে, তাকেও যেতে হয় কারাগারে। বিষয়টি জানাজানি হলে নরেচরে বসে প্রশাসন।
হাজিরা বেগম বলেন, আমার ছেলে মেয়েরা না খেতে পেয়ে অনাহারে মারা যাচ্ছে। তাদের অনেক কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুপারিনটেন্ড জেলা কারাগার নরুন্নবী ভূঁইয়া বলেন, যে দুইজন আসামি কারাগারে গেল, তারা মাদক মামলার আসামি। তারা বাঁচার জন্য ভুয়া নাম দিয়ে দুইজন গরীব ও নিরীহ ব্যক্তিকে টাকা দিবে বলে কারাগারে প্রবেশ করিয়ে দেয়। ঐ লোকগুলা অসহায় অবস্থায় কারাগারে বিনা বিচারে জেল খাটছে। আর প্রকৃত আসামিরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রোক্সি হাজিরা মামলার আইনজীবী ছিলেন দোলোনারা। তিনি বলেন, একজন অ্যাডভোকেটের সহায়তা ধিক্কারজনক। আর পুলিশ বলছেন, অভিযোগদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশও পেয়েছে তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিপি অ্যাডভোকেট এস এম ইউসুফ বলেন, এই মামলার সংশ্লিষ্ট যে আইনজীবী তাকে কারণ দর্শনের জন্য আদেশ দেওয়া হল। কারণ দেখালে দেখা যাবে উকালত নামায় যিনি স্বাক্ষর করেছেন তিনি কী করে উকিল হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে আমরা থানায় একটা মামলা করেছি। মামলায় আসামি এবং এ ঘটনার জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা চলছে।
কথা বলার জন্য অভিযুক্ত আইনজীবী এবং মাদক মামলার দুই আসামি কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
channel 24 & আমাদের সময়.কম