মুড়ির আছে অনেক গুণ
হালকা নাস্তার ক্ষেত্রে বাঙালিদের কাছে মুড়ি বেশ জনপ্রিয় খাবার। শুধু গ্রামে নয়, শহরের অনেকেই মুড়ি খেতে পছন্দ করেন। হালকা খাবার হিসেবে মুড়ি কিন্তু বেশ কাজের। এটির অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
মুড়ি খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জনিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সাময়িকি ড. হেলথ বেনিফিট।স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো-
শক্তি বৃদ্ধি করে
মুড়িতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে শর্করা। এটি আমাদের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন কাজে সক্রিয় থাকতে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে মুড়ি।
হজমে সাহায্য করে
মুড়িতে রয়েছে ডায়াটিরি ফাইবার। এটি আমাদের হজমে সাহায্য করে। যাই হোক মুড়ি আমাদের অন্ত্রে অবস্থান ঠিক রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে শরীরের মেটাবলিজমের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
হাড়কে শক্ত করে
মুড়ি ভিটামিন ডি, রাইবোফ্লাভিন এবং থিয়ামিনের উৎস। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার। তাই মুড়ি খেলে হাড় ও দাঁত শক্ত হয়।
রক্তচাপের সমতা রক্ষা করে
মুড়ি খুব সামান্য পরিমাণ সোডিয়াম কন্টেন্ট প্রসারিত করতে সহায়তা করে। এটি রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মুড়ি খেলে উচ্চ রক্তচাপ এড়ানো যায়। এটি হার্ট অ্যাটাকের মতো হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক উন্নতিতে সাহায্য করে
মুড়িতে রয়েছে নিউরোট্রান্সমিটার পুষ্টিগুণ। ফলে মুড়ি খেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের উন্নতি এবং কগনেটিভ ফাংশনের উন্নিতে সাহায্য করে।
ডায়েটে মুড়ি
মুড়ি খাওয়ার আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো-ওজন কমাতে সহায়তা। এই সুস্বাদু খাবার হতে পারে আমাদের স্বাস্থ্যকর ডায়েট স্ন্যাকস।
ত্বকের যত্নে
মুড়ির গুড়া ত্বকের জন্য ভালো। ব্রণের মতো ত্বকের রোগের জন্য মুড়ির গুড়া কার্যকরী ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
মুড়ির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মুড়ির এত গুণ জানার পর হয়তো অনেকেই মুড়ি খাওয়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবেন। তবে একটু সাবধান। কারণ উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
বেশি মুড়ি খেলে ডায়বেটিকের সম্ভাবনা থাকে। মুড়ির উচ্চ পরিমাণ গ্লাইসিমাইক রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই মুড়ি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।
মুড়ি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। তাই বেশি মুড়ি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। ফলে স্থূলতা হতে পারে।