সমঝোতা না হলে ‘হিয়া’ পুলিশি হেফাজতেই
নিউজ ডেস্ক : নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাকবলিত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইটের কেবিন ক্রু নাবিলা ফারহিনের (অফিসিয়াল নাম শারমিন আক্তার) মেয়ে হিয়াকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশ উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যেহেতু শিশুটির মা-বাবা অনুপস্থিত, আমরা আশা করছি হিয়ার দাদি-নানি নিজেদের মধ্যে একটা সমঝোতায় আসবেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। শিশুটি কার কাছে থাকবে- এ সিদ্ধান্ত আমাদের জানালে থানা থেকে হিয়াকে হস্তান্তর করা হবে।
যদি তারা মীমাংসা করতে না পারেন তাহলে আমরা শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠাবো। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তখন দাদি অথবা নানি হিয়ার দায়িত্ব পাবেন।
এদিকে শিশু ইনায়া ইমাম হিয়ার দাদি বিবি হাজেরা জানান, হিয়া ছোটবেলা থেকে আমাদের কাছে আছে। এখন হঠাৎ করে দাবি করলেই তো দিয়ে দেবো না।
অন্যদিকে হিয়ার নানি মিনা জামান বলেন, আমার মেয়ে আমাকে বলেছিলো কখনও যদি ওর কিছু হয়ে যায়, তাহলে হিয়া আমার কাছে থাকবে।
দুর্ঘটনার পর সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে উত্তরায় নাবিলার বাসা থেকে হিয়াকে তার দাদি ও চাচি আনতে গেলে বাসায় তালা বন্ধ পান। হিয়ার স্বজনরা জানান, স্বামী দেশের বাইরে থাকায় হিয়াকে গৃহকর্মী রুনার (২৮) কাছে রেখে ফ্লাইটে যেতেন নাবিলা। হিয়াকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে উত্তরা পশ্চিম থানায় ওই রাতেই জিডি (জিডি নম্বর-৯০২) করেন হিয়ার দাদি বিবি হাজেরা।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার গৃহকর্মী রুনাকে আটক করে। রুনা দাবি করে হিয়াকে অপহরণ করেনি। এরপর গৃহকর্মীকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালায় পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরের ভাষানটেক এলাকায় তার নানির বাড়ি থেকে হিয়াকে উদ্ধার করা হয়।