যেভাবে জামিনে কারামুক্ত হবেন খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে আটক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। খালেদা জিয়ার বয়স, স্বাস্থ্য এবং কম সাজা বিবেচনা করে আজ সোমবার (১২ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন। এখন আইনত বেশ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামিনে কারামুক্ত হবেন তিনি।
খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের পর তার কারামুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের এই আদেশের পর খালেদা জিয়ার জামিনে কারামুক্তির প্রক্রিয়া হলো, হাইকোর্টের এই জামিন আদেশটি লিখিতভাবে রায় প্রদানকারী আদালতে যাবে। এরপর রায় প্রদানকারী আদালতে একটি বেইল বন্ড (জামিননামা) দাখিল করতে হবে।
ওই বেইল বন্ড জমার পর বিচারিক আদালত কারাগার বরাবর একটি রিলিজ অর্ডার পাঠাবে। সেই অর্ডার হাতে পাওয়ার পর খালেদা জিয়া জামিনে কারামুক্ত হবেন বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এই মামলার আপিল আবেদনে ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত শুনানি শেষে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে মামলার নথি তলব করেন। নিম্ন আদালত থেকে সেই নথি ১১ মার্চ রবিবার দুপুরের পর উচ্চ আদালতে এসে পৌঁছায়। তবে এদিনই জামিন বিষয়ে আদেশ ঘোষণার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ নির্ধারিত ছিল আদালতের। এদিন সকালে আদালত যথারীতি বসলেও নথি পর্যালোচনার জন্য আদেশ ঘোষণা আরও একদিন পিছিয়ে আজ সোমবারের তারিখ নির্ধারিত করেন। সে অনুযায়ী আজ দুপুরে আদালত এ আদেশ ঘোষণা করেন।