সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়। এর আগে রোববার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য থাকলেও বিচারিক আদালতের নথি হাইকোর্টে পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় সোমবার দুপুর ২টায় আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্টে।
এর আগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য বুধবার সংশ্লিষ্ট আদালতে মেনশন স্লিপ জমা দেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে মেনশন স্লিপ গ্রহণ করে রোববার বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকার ১ নম্বরে রাখেন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ।
কিন্তু গতকাল শুনানি শুরুর আগ পর্যন্ত নথি না পৌঁছানোয় আদেশ পিছিয়ে সোমবার দুপুরে নির্ধারণ করেন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ। এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারিক আদালতের নথি রোববার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।
আদালতের ডেসপাচ শাখার কর্মকর্তারা নথি গ্রহণ করেন। পরে এই নথি হাইকোর্টের ফৌজদারি আপিল শাখায় নেয়া হয়। এর আগে গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে এক আদেশে বিচারিক আদালতের নথি পাওয়া সাপেক্ষে জামিন প্রশ্নে আদেশ দেয়া হবে বলে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের জানান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় পুরান ঢাকার বকশীবাজাস্থ ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান। সেই থেকে খালেদা জিয়া নাজিম উদ্দীন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এর আগে ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। ২০০৯ সালে মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মাঝে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদলতের নির্দেশে স্থগিত ছিল।
এই মামলায় অপর আসামীরা হলেন, তার ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে এবং সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন। মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন কারাগারে। তারেক রহমানসহ অন্য ৫ আসামীকে ১০ বছর করে কারাদ- দিয়েছে আদালত। তাদেরকে ২ কোটিরও বেশি অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আমাদের সময়.কম