মাদ্রাসাটির শ’দেড়েক শিশুর পাঠ্যক্রম সীমাবদ্ধ বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়েই। যুগোপযোগী সিলেবাস, শিক্ষকের অভাব আর অবকাঠামো দুর্দশায় ডাক্তার, প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্নও দেখতে পারে না শিক্ষার্থীরা।
এবার দেখা যাক সুযোগ যাদের আছে তাদের কি অবস্থা। রাজধানীর এই বিদ্যালয়ে, মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রী মাত্র ২৩ জন, বিপরীতে বাণিজ্য আর মানবিকে এ সংখ্যাটা ১শ ৪০। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের-ই হিসাব বলছে, শেষ দুই দশকে সারা দেশেই ধারাবাহিকভাবে কমছে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী।
বালুঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তাদের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া কোনোভাবেই ঠিক হবে না।’
চন্ডীপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘মাদ্রাসার যে সিলেবাস আছে তা দীর্ঘ মেয়াদি, কঠিন। বিজ্ঞান ও কারিগরি দিকে আমরা যেতে পারি না।’
ঢাকার কেরাণীগঞ্জের এই গ্রামটিতে প্রায় সাড়ে ৪হাজার মানুষের বসবাস, নাম চণ্ডীপুর। যার ৮০ শতাংশ পরিবারেরই কেউ না কেউ ভাগ্য বদলাতে পাড়ি জমিয়েছেন প্রবাসে। কিন্তু তাদের জীবনযাত্রায় আসেনি তাঁক লাগানো কোন পরিবর্তন।
প্রবাসী বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে দেখা যায়, শতকরা ১০ জনের ভাগ্য ফিরে। বাকি গুলো বাড়িঘর বিক্রি করে যায় এগুলো আর করতে পারেনা।’
অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে প্রবাসী শ্রমিকদের উৎসাহ করা যায়। একটা অংশের সেভিংস তারা যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রাখে।’
মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধান খাতগুলোর এমন দুরবস্থাকে টেকসই মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার পথে বড় বাঁধা হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
দেশের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে সাক্ষরতার হার ইতিবাচক হলেও, মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকদের ভাবাচ্ছে ক্রমেই বেড়ে চলা তরুণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কর্মহীনতাও। সূত্র: সময় টিভি