গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার মস্কোস্থ রোসাটমের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা রোসাটম এবং ভারতের পারমাণবিক শক্তি দপ্তরের মধ্যে এই ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. সাইফুল হক, রাশিয়ার পক্ষে রোসাটমের উপ-মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সহযোগিতা) নিকোলাই, এন. স্পাস্কি এবং ভারত সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল) ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর, ভারতীয় দূতাবাসের উপ রাষ্ট্রদূত জি. বালাসুব্রামানিয়াম এবং এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট গ্রুপের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার খাজিন উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর রাষ্ট্রদূত ড. সাইফুল হক ১৯৭১ এর আগস্ট মাসে সম্পাদিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক মৈত্রী চুক্তির কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ও ভারত উভয়ই আমাদের দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত বন্ধু এবং উভয়ই শান্তিপূর্ণভাবে পরমানু বিজ্ঞান সাধনায় অত্যন্ত অগ্রসর। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক প্ল্যান্ট রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মাণ করেছে। একারণে দূরত্ব এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব বিবেচনায় ভারতের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বাংলাদেশে স্থানান্তর করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে বলে ধারণা করা যায়।
এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানী ও পরমাণু বিজ্ঞান প্রকল্প সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা কুশলীরা রাশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সম্মতিক্রমে রূপপুরস্থ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়া সময়ে সময়ে তারা ত্রিপক্ষীয় সভা ও সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান করবেন। সমঝোতা স্মারকটি রাশিয়া বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত পারমাণবিক সহযোগিতা সংক্রান্ত মূল চুক্তির আলোকে এবং আইএইএ-এর নিয়মনীতি মেনে করা হয়েছে।