বৃহস্পতিবার বিকালে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এম খোরশেদ আলম তাকে তলব করেন। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক পত্র (নোট ভারবাল) তাকে দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এবং বলা হয় এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়।
সূত্র জানায়, তাকে একটি নোট ভারবাল বা আনুষ্ঠানিক পত্র দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুইদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে আলোচনা হয় এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কার্যত্রম গ্রহণ না করার জন্য আহবান জানানো হয়।
অন্য একটি সূত্র জানায়, রাখাইনে সামরিক শক্তি বাড়ালে নো ম্যানসল্যান্ডে যে ছয় হাজার রোহিঙ্গা আছে তারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে আগ্রহী হবে না এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর গোটা প্রক্রিয়াটি অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন অঙ্গরাজ্যে সেনাবাহিনী অব্যাহত নিপীড়ন ও গণহত্যা চালানো শুরু করলে দেশটি থেকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দিলেও নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আহ্বানসহ দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার।