বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক।
তিনি বলেন, ‘তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইন এলাকায় বেশ কিছু রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। এলাকাটি মিয়ানমার অংশে। কিছুদিন ধরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনী তমব্রু সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া, সেগুলো আরও মজবুত করা, উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন সার্ভেলেন্স ইকুয়েপমেন্ট স্থাপন করার কাজ করছে। এর মধ্যে শব্দযন্ত্রের মাধ্যমে সেখানকার রোহিঙ্গাদের অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য তারা বারবার বলছে, যা গত একমাস ধরে চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ (১ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা নাগাদ তমব্রু বর্ডার পোস্টের ৩৪ ও ৩৫ পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমার অংশের প্রায় ১৫০ গজ অভ্যন্তরে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। বেশ কিছু মিলিটারি প্যাটার্নের পিকআপের ট্রাক-লরির মাধ্যমে তারা সেখানে ভারী অস্ত্র স্থাপন করেছে। আমরা সার্ভেলেন্স ও ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে এসব তথ্য জানতে পেরেছি। এরপর থেকে বিজিবিও সতর্ক অবস্থানে আছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ইতোমধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের আহ্বান জানিয়েছি। এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। আশা করি, দ্রুততম সময়ে এর সমাধান হবে। আমরা প্রতিবাদলিপিও পাঠিয়েছি।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ পতাকা বৈঠকে সাড়া না দিলে বিজিবি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এমন প্রশ্নে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক বলেন, ‘বর্ডার এলাকায় ভারী অস্ত্র মোতায়েন, সৈন্য সমাবেশ করা বর্ডার নর্মসের বাইরে। আমরা এটা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সতর্ক অবস্থানে আছি। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত।’
কী পরিমাণ সেনা সদস্য এবং কী কারণে মিয়ানমার সমাবেশ ঘটিয়েছে, এমন প্রশ্নে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘সৈন্যদের সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে বর্ডারে যে পরিমাণ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে তা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আর সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে থেকে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর কী কারণে তারা সৈন্য মোতায়েন করেছে, সেটা জানার জন্যই ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের আহ্বান করা হয়েছে। আলোচনায় বসলে জানা যাবে।’