ধুলা-বালুতে একাকার : চরম দুর্ভোগে শহরবাসী
মাজহারুল করিম অভি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় অটোরিক্সা-মাইক্রো-হোনডা-পিকআপ ভ্যান যত্রতত্রভাবে চলাচলের কারণে প্রচন্ড ধুলা-বালুর সৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে যাত্রী ও পথচারীরা চোখ মুখ বন্ধ করে নাক ধরে থাকছেন। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সর্বত্রই এখন ধুলা-বালুতে একাকার।
রাস্তায় বেরোলেই ধুলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে শহরবাসীকে। প্রত্যেক এলাকাগুলোতেও ধুলার ভোগান্তিতে দেখা মিলল পথচারীদের নাক ধরে চলাচলের দৃশ্য। অনেকেই আবার মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন। এই দৃশ্য এখন পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বত্রই চোখে পড়ছে। বর্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন এলাকাগুলো ভুগেছেন কাদা-পানি ও ড্রেনের জলাবদ্ধতায়। আর এখন শুষ্ক মৌসুমে ভুগছেন ধুলার দুর্ভোগে। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধুলার সঙ্গে নিত্য বসবাস। ধুলায় ধূসর ঝুঁকি বাড়ছে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষণের।
শহরের বিভিন্ন এলাকাগুলোর ভাঙ্গাচোরা ও খানাখন্দক রাস্তা এবং রাস্তা ও ফুটপাতের কাজে বালু ব্যবহারে সেখানকার ধুলার পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুম হওয়ার ধুলার প্রকোপ আরও বেড়েছে। শহরের বাসিন্দা ও পথচারীরা বলেন, প্রতিদিনই ধুলা-বালির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যে কারণে মাস্ক ব্যবহারের করছি। আমাদের এই রাস্তায় যে পরিমাণ ধুলা এতে করে চলাচল করাই কঠিন। কয়েকদিন আগে রাস্তা ঠিক করার জন্য শুধু মাত্র বালু আর ইটের টুকরো বসিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইওভারের কাজের জন্য শহরের মধ্যে চলাচলরত সকল যানবাহন এখন ছোট ছোট এলাকাগুলো দিয়ে যাতায়াত করছে।
যার ফলে আমাদের এই এলাকার রাস্তাগুলো নিস্তেজ হয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং সেই রাস্তা গুলো সাধারণ বালু আর ইট দিয়ে সংস্কার করছে। যার ফলে এই বালি এখন দূর্ভোগ হয়ে দাড়িয়েছে আমাদের জন্য। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে তাহলে হয়ত আমাদের এই দূর্ভোগ পুহাতে হত না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকার সড়কের মধ্যে কাজীপাড়া, কান্দিপাড়া, ফারুকী পার্ক সংলগ্ন রাস্তা, মৌড়াইল, মোটামোটি সব কয়েকটি এলাকার সড়কের যাত্রী ও আশপাশের বাসিন্দারা ধুলার জ্বালায় বেশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। কেবল ধুলোর কারণেই শহরে এখন মাস্ক পরে চলাচল করছেন অনেকেই। এ বিষয়ে চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ধুলা-বালিতে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এই ধূলা-বালিতে অতিষ্ট হওয়া এলাকাগুলোর বাসিন্দা ও পথচারীদের দাবি যে এই ধূলা-বালির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সু-ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।