নারায়ণগঞ্জে অন্য কেউ কর্তৃত্ব দেখাতে পারবে না : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে ও থাকবে। এখানে অন্য কেউ কর্তৃত্ব দেখাতে পারবে না। যারা স্বপ্ন দেখছেন আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে না তারা বোকা। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এবং শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। এজনই আমাদের লড়াই। সেজন্যই ঐক্যবদ্ধতা প্রমাণে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শহরের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বৃহৎ সমাবেশ করা হবে। সেখানে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি খোকন সাহাসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সবাইকে দাওয়াত দিলাম। আসেন একত্রে বসে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখি। এমন সমাবেশ করবো যা দেখে প্রধানমন্ত্রীর বুকটা ভরে যায়।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে কর্মী সমাবেশে শামীম ওসমানের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণা হবে। বিএনপি ধরেই নিয়েছে তাদের চোরের নেত্রীর কিছু একটা হবে। তখন কিন্তু জামায়াত-বিএনপি সবাই নামবে। আস্তে আস্তে নামবে তারা। আগামী জুন-জুলাইতে দেশে অনেক অঘটন ঘটবে। কিন্তু আশা করি কিছুই করতে পারবে না। আমি বিশ্বাস করি সিটি করপোরেশনের মেয়র আইভীও এসব প্রতিহত করতে মাঠে থাকবে। তিনি যদি থাকে তাহলে আমার সঙ্গে কোন বিরোধ থাকবে না। কিন্তু মাঠে থাকবেন না আর আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন সেটা হবে না।’
গত ১৬ জানুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় গত ২৩ জানুয়ারি সিটি মেয়র আইভীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে সিটি করপোরেশনের একজন আইন কর্মকর্তা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে প্রধান বিবাদী করা হয়েছে ঘটনার দিন অস্ত্র বের করা নিয়াজুল ইসলামকে। এছাড়া অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- অস্ত্র প্রদর্শন করা মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, ঘটনাস্থলে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান সুজন, যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন ও চঞ্চল মাহমুদ।
শনিবার শামীম ওসমান ওই অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যাদের নামে অভিযোগ হয়েছে তাদের ধরা তো দূরের কথা যদি মাথার চুলও ছুতে চায় তাহলে আগুন ধরিয়ে দিব।’
হকার ইস্যুর ঘটনায় অস্ত্র বের করা নিয়াজুল প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘পত্রিকায় খবর আসে নিয়াজুল নাকি পলাতক। কিন্তু সে পলাতক না। নিয়াজুল অসুস্থ সে চিকিৎসা নিচ্ছে। যারা নিয়াজুলের ওপর হামলা করেছে তাদের আগে ধরেন। নিয়াজুলকে ধরার চিন্তা কইরেন না।’
আইভীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যারা আপনার নির্বাচনে দিনরাত পরিশ্রম করে লাখ লাখ টাকা খরচ করেছে পরীক্ষিত সেসব নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যারা বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ৫০টা মামলা খেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে এখন হুদামিছা অভিযোগ করেছেন সেগুলো প্রত্যাহার করেন। বাঘ আর বিড়ালের পার্থক্য বুঝতে হবে। বাঘের ঘরে বাঘের জন্ম হয়। আমি শামীম ওসমান তো পরে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে তারাও যদি ডাক দেয় এক লাখ লোক জমায়েত কোন ব্যাপার না।
তিনি বলেন, আজকে অনেক কথা বলার ছিল। কিন্তু মাইকে বলতে পারলাম না।