g মিয়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২৮শে আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ৯, ২০১৭
news-image

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিপক্ষে সোচ্ছার ছিলো পশ্চিমা বিশ্ব। বারবার রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু কোনোভাবেই গণহত্যা না থামানোয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকেই মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের জন্য সেখানকার উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের উপর শাস্তি হিসেবে নিষেধাজ্ঞার কথা চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এমন তথ্যই নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

অন্যদিকে ওয়াশিংটন, ইয়াঙ্গুন ও ইউরোপের ১২ জনের বেশি ইয়াঙ্গুনভিত্তিক কূটনীতিকরা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আলোচনার দ্বার খোলা রাখার জন্য প্রথম পর্যায়ে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ প্রতীকী হতে পারে।

গত বছরই ব্রাসেলস, বার্লিন ও ভিয়েনা সফর করেছিলেন মিয়ানমারের সামরিকে কর্মকর্তারা। এই নিষেধাজ্ঞা জারি হলে মিয়ানমারের সামরিক কর্তাদের পরবর্তী ইউরোপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন এই কূটনীতিকরা।

ইয়াঙ্গুনে নিয়োজিত এক জ্যেষ্ঠ ইউরোপিয়ান কূটনীতিক বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো এই সংকট মোকাবেলা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। তারা এ বিষয়ে একমত যে, সমস্যার মূলে সেনাবাহিনী এবং বিশেষত কমান্ডার ইন চিফ, যেকোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপে যাকে টার্গেট করা দরকার।

মিয়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৬ অক্টোবর বৈঠকে বসবেন। যদিও তারা মনে করছেন না খুব শিগগির নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নেদারল্যান্ডসের উন্নয়ন করপোরেশনবিষয়ক মন্ত্রী উলা টরনায়েস রয়টার্সকে বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওরপ আরও চাপ প্রয়োগ করতে’ কোপেনহেগেন বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে আনার চেষ্টা করছে।

অন্য দিকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সূচীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। জান্তাদের সাথে তার সখ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সোরগোল চলছে।

বিবিসি বলছে, গত এক মাসে রাখাইনের মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর পশ্চিমা নীতিনির্ধারকেরা এখন তাদের উপর কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাপের মুখে রয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিল সামনের সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবে। তবে এখনই কোন ধরনের শাস্তি প্রতীকী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

এ জাতীয় আরও খবর