g পরমাণু বিপর্যয়ের দায়ে ৫০ কোটি ইয়েন ক্ষতিপূরণ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মঙ্গলবার, ১৭ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২রা কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

পরমাণু বিপর্যয়ের দায়ে ৫০ কোটি ইয়েন ক্ষতিপূরণ

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ১২, ২০১৭

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১১ সালের মার্চে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে জ্বালানির গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফুকুশিমা দাইচিতে একের পর এক বিস্ফোরণের বিপর্যয় এড়ানো যেত বলে জানিয়েছেন জাপানের একটি আদালত।

মার্চের ওই বিপর্যয়ের জন্য একইসঙ্গে সরকার ও পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অপারেটরকে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর থেকে ফুকুশিমাই হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরমাণু বিপর্যয়। এদিন ফুকুশিমা জেলা আদালত জাপান সরকার ও অপারেটর সংস্থা টেপকোকে ৫০ কোটি ইয়েন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

২০১১ সালের মার্চে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফুকুশিমা দাইচিতে একের পর এক বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল দেশবাসীর মনে। ১৯৮৬ সালের চের্নোবিল দুর্ঘটনার পরে এটাই বিশ্বের অন্যতম পরমাণু বিপর্যয় বলে মনে করা হয়। ফের ফুকুশিমা থেকে তেজস্ক্রিয় জল লিক হওয়ার খবরও পাওয়া যায়।

ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর নাগরিক বিক্ষোভের জেরে দেশের ৫০টিরও বেশি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। তেজস্ক্রিয় বিপর্যয়ের আতঙ্কে ঘরছাড়া হন বহু জাপানবাসী। পরমাণু বিদুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি যেমন সৌরশক্তি বা বায়ু চালিত শক্তি ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় নেহাতই কম।

তাই বাইরে থেকে কয়লা এবং তেল আমদানি করতে হচ্ছে সরকারকে। এর জন্য প্রচুর অর্থব্যয় হচ্ছে। ঘাটতি পূরণে দেশবাসীকে আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি কর দিতে হচ্ছে।

এ জাতীয় আরও খবর