g বয়স ৩০ হওয়ার পর হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ৫টি উপায় | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মঙ্গলবার, ১৭ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২রা কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বয়স ৩০ হওয়ার পর হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ৫টি উপায়

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ১২, ২০১৭
news-image

---

অনলাইন ডেস্ক : বয়স ৩০ হওয়ার পর থেকেই মানুষের কঙ্কাল দ্রুতগতিতে ক্যালসিয়াম হারাতে থাকে। কিন্তু ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটানোর গতি ধীর হয়ে আসে।

ফলে কয়েক বছরের মধ্যে হাড়গুলো নরম, ছিদ্রযুক্ত এবং এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে অল্প চাপেও ভেঙ্গে যায়। যেমন ধরুন টেবিলের বিপরীতে আঘাত লাগলে বা ঘুমানোর সময় বিছানা থেকে মেঝেতে পড়ে গেলে আপনার হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে। সুতরাং আপনি যদি শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যবান হাড় পেতে চান তাহলে এই লেখাটি পড়ুন। এখানে এমন ৫টি উপায় বাতলে দেওয়া হলো যেগুলো অনুসরণ করে আপনি মধ্যবয়সেও স্বাস্থ্যবান হাড় গড়ে তুলতে পারবেন।
১. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান
স্নায়ু, মাংসপেশি এবং হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য দেহের জন্য দরকার হয় ক্যালসিয়ামের। আর এ কারণেই হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের হয়ে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে তেমনি রক্ত থেকেও ক্যালসিয়াম নিয়ে হাড় তার নিজের ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম খেলে এই দেওয়া-নেওয়া ঠিক থাকে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় নিজের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সহজে শুষে নিতে পারে না। সুতরাং ৩০ বছরের পর বেশি বেশি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

২. ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিন
অন্ত্র থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নিতে সহায়তা করে ভিটামিন ডি। সুতরাং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশপাশি ভিটামিন ডি বড়িও সেবন করুন। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন ৫ মিনিট করে সূর্যের আলোতে দাঁড়ালেই প্রাকৃতিকভাবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি উৎপাদিত হবে আপনার শরীরে; তাহলে কিন্তু ভুল ভাবছেন। কেননা একমাত্র কৃষকদের যারা দীর্ঘক্ষণ রোদে থেকে কাজ করেন তাদের দেহেই প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি উৎপাদিত হয়। কিন্তু এতে আবার ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেক বেশি।

৩. ওয়েট টেনিং ব্যায়াম করুন
জিমে গিয়ে হাই-ইমপ্যাক্ট অ্যারোবিকস, জগিং, ড্যান্সিং, খেলাধুলা এবং ভারোত্তোলন এর সবই ওয়েট-ট্রেনিং এক্সারসাইজ হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব করলে আপনার হাড়ের ওপর চাপ পড়বে, আর হাড়ও তখন আরো বেশি করে ক্যালসিয়াম শুষে নেওয়ার বাড়তি চেষ্টা করবে।

৪. মদপান ত্যাগ করুন
মদপান করলে দেহে ভিটামিন ডি এর কার্যক্রম ব্যহত হয়। যার ফলে হাড়গুলোও দুর্বল হয়ে পড়ে। সুতরাং মদপান পুরোপুরি ত্যাগ করুন।

৫. ধুমপান ত্যাগ করুন
সার্বিকভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ধুমপান। এতে শুধু ফুসফুসই নয় বরং এতে হাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধুমপানের কারণে হাড় আপনার অন্ত্র থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নিতে অক্ষম হয়ে পড়ে। সুতরাং আজই ধুমপান ছেড়ে দিন।

এ জাতীয় আরও খবর