g সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে, তবে সমাধান আছে! | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১১ই আগস্ট, ২০১৭ ইং ২৭শে শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে, তবে সমাধান আছে!

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ৮, ২০১৭

---

অনলাইন ডেস্ক : প্রেম-ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, পরিবারিক দ্বন্দ্ব, দাম্পত্য কলহ – সব সম্পর্কের মধ্যেই দেখা দিতে পারে সমস্যা৷ সমস্যার কারণ না জানা থাকায় ভেঙে যেতে পারে সম্পর্কও! এ সব বিষয়ে জটিল সমস্যার সহজ সমাধান দিয়েছেন জার্মান বিশেষজ্ঞরা!

ভালোবাসার সম্পর্ক:
স্বামা-স্ত্রী বা ভালোবাসার মানুষের সাথে নানা কারণে ঝগড়া হতে পারে৷ তাই বলে ছোট-খাটো কারণে এতদিনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যেতে পারে না, তাই না? সুতরাং ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান নিয়ে কথা বলুন৷ প্রয়োজনে পার্টনার থেরাপি, অর্থাৎ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷ জানান জার্মানির মনোরোগ ও পার্টনার থেরাপিস্ট ডা. নিকোলাউস মেলকপ৷

বিশেষজ্ঞের অভিজ্ঞতা:
ড. মেলকপ তাঁর বহুদিনের ডাক্তারি অভিজ্ঞতা থেকে জানান, ‘‘যেসব দম্পতি বা পার্টনার আমার কাছে এসেছেন তাঁদের সাথে আট-দশটা সিটিং-ই ৪০ থেকে ৫০ ভাগ যুগলের সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে৷

কথা বলা বা আলোচনার বিকল্প নেই:
আজকের এই যান্ত্রিক জীবনে স্বামী-স্ত্রী সহ পরিবারের সকলেই ব্যস্ত৷ তাই সামান্যতেই রেগে যান প্রায় সবাই৷ এ কারণে জরুরি বিষয়ে আলাপের আগে সুবিধাজনক সময়টা ঠিক করে নিন এবং শ্রদ্ধাবোধ রেখে ধীরে-সুস্থে আলোচনা করুন৷ শুধু তাই নয়, আলোচনার সময় ঝগড়ার মনোভাব দূরে রাখুন৷ আসলে কথা বলা বা আলোচনার বিকল্প নেই!

আরেকটি কথা:
বিশেষজ্ঞ বা থেরাপিস্টের সাথে কথা বলার সময় স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক যুগলকে একসাথে তাঁর কাছে যাওয়ার পরমর্শ দিয়েছেন ডা. নিকোলাউস মেলকপ৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘কথা বলার সময় কেউ কাউকে বাঁধা না দিয়ে সব কথা বলতে দিন৷ পুরো কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলে নিজেদের ভুল নিজেরাই অনেকটা বুঝতে পারবেন – যা মূল সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি৷’’

পরিবারিক সমস্যা:
অভিমান, অভিযোগ, ঝগড়া, রাগ বা মনোমালিন্য পরিবারের সকলের সাথেই হতে পারে৷ আর সেটা হতে পারে ছোট বা বড় কারণে৷ সামান্য ভুলের কারণে তো অনেকে একে-অপরের সাথে কথা বলাও বন্ধ করে দেয়৷ তাই সমস্যা বেশি দূর গড়ানোর আগেই খোলাখুলি কথা বলুন৷ তবে অবশ্যই নরম সুরে৷ জানান সম্পর্ক বিষয়ক আরেক বিশেষজ্ঞ উরসুলা সে৷

সন্তানদের সাথে দ্বন্দ্ব:
সন্তানের সাথে মা-বাবার নানা কারণে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে, বিশেষ করে টিন-এজ বা বয়ঃসন্ধিকালে৷ এক্ষেত্রে কথা না বলা বা সন্তানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাও আজকাল বিরল নয়৷ কিন্তু এতে ওরা জড়িয়ে যেতে পারে নানা অপরাধমূলক কাজের সাথে৷ তাই সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পরার আগেই কথা বলা প্রয়োজন৷

বাড়তি সমস্যা:
অনেক সময় দেখা যায় স্বামী বা স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর থাকা সত্ত্বেও তাঁদের যে কোনো একজনের মা-বাবা বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের কারণে দাম্পত্য কলহ বেধে যাচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে ওই একই কথা৷ সকলে মিলে কথা বলুন আর আলোচনা করুন৷ এতে একটা সমাধান বের হবেই!

এ জাতীয় আরও খবর