g স্ত্রীকে ‘ফার্স্টলেডি’ পদবি দিতে যেয়ে বিপাকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১১ই আগস্ট, ২০১৭ ইং ২৭শে শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে ‘ফার্স্টলেডি’ পদবি দিতে যেয়ে বিপাকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ৭, ২০১৭

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ফার্স্টলেডি’ পদবি দেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। ব্রিগিটি ম্যাক্রনকে যেন জনগণের করের টাকায় ফার্স্টলেডি হিসেবে আলাদা অফিস, কর্মচারী ও ভাতা না দেওয়া হয় সেজন্য ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি লোক একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ম্যাক্রন জানিয়েছিলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্টদের স্ত্রীদের রাষ্ট্রীয় যে ভূমিকার কথা বলা হয়, তা এক ধরণের ‘ফরাসি প্রতারণা’। তিনি নির্বাচিত হলে প্রেসিডেন্টে স্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ভূমিকার বিষয়টি পরিষ্কার করবেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘যিনি আপনার সঙ্গে বসবাস করছেন, তার ভূমিকা ও সেই ভূমিকার জন্য তার স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ।’

ফ্রান্সের সংবিধানে প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে পৃথক কোনো দাপ্তরিক মর্যাদা দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন সময় তারা যেমন যোগ্য সেই অনুপাতে তাদের জন্য পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে তাদেরকে একটি কার্যালয়, কর্মচারী ও নিরাপত্তা প্রহরী দেওয়া হয়। এর জন্য এলিসি প্রাসাদের জন্য যে বাজেট সেখান থেকেই বাৎসরিক ৪ লাখ ৬ হাজার পাউন্ড বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

ম্যাক্রন যদি তার স্ত্রীর জন্য দাপ্তরিক পদবির সৃষ্টি করেন তাহলে এর জন্য সরকারকে আলাদা বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিশনকারীদের অন্যতম চিত্রশিল্পী থিয়েরি পল ভ্যালেট বলেছেন, ‘ রাষ্ট্রপ্রধানের স্ত্রীকে জনগণের তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। বর্তমানে ব্রিগটি ম্যাক্রনের দুই বা তিনজন সহকারী, দুজন নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছেন। এটাই যথেষ্ট।

ভ্যালেট জানান, প্রেসিডেন্ট ডিক্রিবলে এই সিদ্ধান্ত জারি করতে পারেন না, তার উচিৎ গণভোটের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।

এ জাতীয় আরও খবর