এখনও সক্রিয় দাউদ ইব্রাহিম
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পলাতক আন্ডারগ্রাউন্ড ডন পাকিস্তানের করাচিতে নিজের বাড়িতে প্রায় মরণাপন্ন বলে দাবি করেছিল দিল্লির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এও দাবি করা হয়েছিল, নোট বাতিলের পরে ভারতে জাল নোট পাচারের কারবার ধাক্কা খেয়েছে। তাই পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কাছে তার গুরুত্ব কমে গিয়েছে। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাই স্বীকার করে নিচ্ছেন, মাদক পাচার থেকে জাল নোটে কারবারে এখনও সমানভাবে সক্রিয় দাউদ ইব্রাহিমের নেটওয়ার্ক।
সম্প্রতি গুজরাট উপকূলের কাছে এম ভি হেনরি জাহাজ থেকে মাদক উদ্ধার কিংবা রাজধানী নয়া দিল্লি থেকে জাল টাকার পাচারকারী এক ব্যক্তির গ্রেপ্তারি, সব কিছুতেই দাউদের হাত দেখতে পাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, দাউদ যে কতটা সক্রিয় তা এম ভি হেনরি জাহাজ থেকে ১৫০০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হওয়া থেকেই স্পষ্ট। গুজরাট উপকূলের কাছে আটক হওয়া ওই জাহাজের ধৃত ক্যাপ্টেন ও সঙ্গীরা জেরার মুখে জানিয়েছে, ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে দুবাই ঘুরে জাহাজটি করাচি আসে। সেখানে ঠায় পরিকল্পনাহীনভাবে তিনদিন দাঁড়িয়ে ছিল জাহাজটি। কেন তা তার কোনও স্পষ্ট জবাব নেই গ্রেপ্তারকৃতদের কাছেও। তাদের স্বীকারোক্তি, ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে করাচি ছাড়াও সংলগ্ন গদর বন্দরেও গিয়েছিল জাহাজটি। গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে, করাচি থেকেই মাদক জাহাজে তোলা হয়েছিল। জাহাজটিকে ভারতীয় নৌসেনারা পোরবন্দরে নিয়ে যান।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই জাহাজের আসল গন্তব্যস্থল ছিল গুজরাটের আলঙ্গ বন্দর। গুজরাটে পুরনো জাহাজ ভেঙে ফেলার জন্য ওই বন্দরটির বিশেষ নাম রয়েছে। গোয়েন্দারা বলছেন, আলঙ্গে জাহাজ ভেঙে ফেলার ব্যবসায় লগ্নি রয়েছে দাউদ ঘনিষ্ঠ অনেক ব্যবসায়ীর। এ ক্ষেত্রে মাদকের পরিমাণ দেখে গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে, ১৫০০ কেজি মাদক কোনও বিশ্বস্ত জাহাজ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে গুজরাটে ঢোকাতে চেয়েছিল দাউদ। যদিও তার আগেই গ্রেপ্তার হয়ে যায় পাচারকারীরা।
মাদকের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে চলছে ভারতে জাল নোট পাঠানোর কাজ। নোটবন্দি থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন একশো টাকার নোট ছাপছে দাউদ। সম্প্রতি দিল্লিতে জালনোট পাচারকারী এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করেই এই তথ্য জানা গিয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার