শুধু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ সম্ভব নয়
---
শুধু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, এ জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।
শুক্রবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে ‘চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব এবং ডিএনসিসি কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, যেখানে পাঁচদিন পর পর মশা নিধনের ওষুধ প্রয়োগের কথা। সেখানে আমরা তিনদিন পর পর প্রয়োগ করছি। মশা নিধনে ডিএনসিসির ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দ ২৩ কোটি টাকা। তবে বর্তমানে যেভাবে মশা নিধনে ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে এই বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
তিনি জানান, বর্তমানে মশা নিধনের জন্য ডিএনসিসির হস্তচালিত মেশিনের সংখ্যা ৩৮৭টি, ফগার মেশিন ২৫৫টি, হুইল ব্যারো মেশিন ১০টি এবং ভ্যাহিক্যাল মাউন্টেড ফগার একটি। চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে আমরা সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তাই চিকুনগুনিয়ার দায়ভার কোনোভাবে ডিএনসিসির নয়।
তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়া রোগ বহনকারী এডিস মশা বাসাবাড়ির ভেতরে প্রজনন করে, যা নিধন করা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়। বাসাবাড়িতে নিরাপত্তাজনিত কারণে কীটনাশক প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। এছাড়া চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তকে মশারির মধ্যে রাখা দরকার। এসব বিষয়ে জনগণকে সচেতন হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাউল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম এম সালেহ ভূঁইয়া, প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা কমডোর আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।