অপারেশন ‘টেপিড পাঞ্চ’ সমাপ্ত, প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভেড়ামারার জঙ্গি আস্তানায় পরিচালিত অপারেশন ‘টেপিড পাঞ্চ’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার রাত ৯টার পর অভিযানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে শুরু হওয়া চূড়ান্ত অভিযানে এগুলো উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যার পর এসব বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, ওই আস্তানায় ‘টেপিড পাঞ্চ’ অভিযান চলাকালে সন্ধ্যায় একটি রুম থেকে বিপুল পরিমাণ শক্তিশালী বিস্ফোরকজাতীয় দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল সেগুলো রুমের বাইরে নিয়ে এসে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছে।
বিস্ফোরকের ধরন সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, যে পরিমাণ বিস্ফোরক আমরা পেয়েছি তা দিয়ে পাঁচতলা ভবনও ধ্বংস করা সম্ভব। ৮ ফুট গর্ত করে তার ওপর ২-৩ ফুট বালির বস্তা দিয়ে এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানোর মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সও এনে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, চূড়ান্ত অভিযানের শুরুতেই বিকাল পৌনে ৬টায় ভেড়ামারা শহরের বামনপাড়া তালতলা এলাকার জঙ্গি আস্তানাটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়। এরপর বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
শনিবার সকালে এই বাড়িটি ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে অভিযান চালিয়ে তিন নারী জঙ্গিকে আটক করা হয়। সিটিটিসি ও কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ যৌথভাবে অভিযানটি চালিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক তিনজনের মধ্যে একজন নব্য জেএমবির আমির আইয়ুব আলীর স্ত্রী তিথি। বাকি দুজন হচ্ছে নব্য জেএমবির সেকেন্ড ইন কমান্ডের স্ত্রী সুমাইয়া ও আরমান আলীর স্ত্রী টলি আরা।