বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাজধানী, ব্যাপক যানজট
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ সোমবার সকাল থেকে বিরামহীন বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাজধানী। এতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। অফিসগামী লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এর মধ্যেই সকাল সকাল ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঈদের শপিং করতে বের হওয়া লোকজনের গাড়ির সারিও দেখা গেছে কোনও কোনও রাস্তায়।
রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার (১৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে হওয়া ভারি ও মাঝারি বর্ষণ হয়েছে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তাদের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। দুপুর ১১টা ৫৫তে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাজধানীর মিরপুর, কালশী, বেগম রোকেয়া স্মরণি, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর হয়ে বাংলামোটর থেকে বসুন্ধরা সিটির পুরো রাস্তায় মাঝে মাঝেই পানি থৈ থৈ করছে। রাস্তা মাঝখানে ছোট যানবাহন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে যানজট। আর প্রধান সড়ক জুড়ে উন্নয়ন কাজের কারণে খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোয় গাড়ির গতি নেই বললেই চলে।
রাস্তায় পানির কারণে শান্তিনগর, রূপসি বাংলার মোড়, মগবাজার ও মৌচাকের রাস্তায়ও যানজট তৈরি হয়েছে। “মগবাজার থেকে তেজগাঁও এলাকার দিকে গাড়ি ধীর গতিতে যাচ্ছে; কিন্তু তেজগাঁও থেকে গাড়ি প্রায় স্বাভাবিকভাবে গুলিস্তানের দিকে আসছে।”
রামপুরা থেকে গুলিস্তান আসতে অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি সময় লেগছে। গুলিস্তান থেকে গাবতলী মুখী সড়কেও ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। আর উত্তরা থেকে মহাখালী রাস্তার প্রায় পুরোটাই যানজটের কবলে পড়েছে। এপথে কাওলা থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত রাস্তায় পানি জমে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে।
সকালে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হওয়ায় শঙ্কিত লোকজন। বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা রায়হান রশিদ বলেন, ‘এত বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল যে আজ (সোমবার) অফিসে যেতে পারিনি। এর মধ্যে গাড়ি নিয়ে বের হতে ভয় করছে। তার ওপর ভারি বর্ষণ তো আছেই।’
বৃষ্টিতে মোটরবাইকে ধানমন্ডি থেকে পান্থপথ এসেছেন বিপ্লব জিসান খান। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি আর যাজটনের মধ্যে অফিসে আসতে গিয়ে অবস্থা খারাপ। পুরো বর্ষা মৌসুমে যদি এ অবস্থা থাকে তাহলে আমাদের নাগরিক অধিকার বলে আদৌ কিছু আছে কী?’
গুলিস্তান থেকে ফার্মগেইট পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা পার বেসরকারি চাকরিজীবী মো: আনিস। তিনি বলেন, সকাল ৮টার দিকে বাসে উঠি, কিন্তু ঠিক সময় অফিসের পৌঁছতে পারলাম না। পুরো পথে যানজটে পড়ে কারওয়ান বাজার চার রাস্তার মোড়ের সিগনাল পার হতে তার সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে।