সালমানের জীবনে নতুন নারী মৌনী?
---
বিনোদন ডেস্ক :সালমান খানের কি আইবুড়ো নাম ঘুচবে এবার? উলিয়া ভান্তুরের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করলেন, দেশ বিদেশ সফরসঙ্গী হলেন, কিন্তু বন্ধুত্ব বাড়িতেই থেকে গেল।
দোরগোড়ায় প্রেম এল না! কালই এমন একটা ঘটনা ঘটল যে, বলিউডে এখনই ফিসফিসানি শুরু হয়ে গিয়েছে।
গতকালই টিউবলাইট ছবির প্রোমোশনের জন্য সালমান খান গোটা টিম নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কপিল শর্মা শো-তে।
সলমনের ভাই সোহেল খানও ছিলেন সঙ্গে। নাগিন সিরিয়ালের মৌনী রায়কে কে না চেনে? মৌনীও সালমানের মস্ত বড় ফ্যান, সেটাও তাঁর হাবেভাবেই কারওর বুঝতে অসুবিধে হয়নি। আরও বড় ব্যাপার, বিগ বস-এ কাজ করতে করতে সালমানের খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন মৌনী।
অনেকের মতে, খুব ঈর্ষণীয় দূরত্বে এসেছেন মৌনী যাতে খুব কাছের বন্ধুদেরও চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি। কিন্তু এ সবই শোনা কথা, চোখে যা দেখা গেল তাতে ব্যাপারটা জলেন মতো স্পষ্ট হয়ে গেল।
সালমান যেমনটা করে থাকেন সব প্রোমোশনে, একটু-আধটু নেচে মাতিয়ে দেন দর্শককে। পাশে দাঁড়ানো মৌনীকে বললেন তাঁর সঙ্গে পা মেলাতে।
লজ্জায় গুটিয়ে গিয়ে মৌনী ইশারায় জানালেন, না। কিন্তু সেকথা জানিয়ে এক পা পিছিয়ে গিয়েছিলেন তিনি, দেখতেই পাননি সেই মুহূর্তে সালমানও দাঁড়িয়েছেন পেছনে। সালমানের সঙ্গে ধাক্কা, আর সামলাতে না পেরেই প্রায় পড়ে যেতে যেতে…তখখুনি ঘটে গেল ঘটনাটা।
মৌনী রায় আর সালমানের দূরত্ব এতটাই কমে গেল যে, প্রায় চুম্বনোদ্যত মৌনীর সামনে সালমানের ভ্যাবাচ্যাকা মুখ…. সিনেমায় যেমন হয়, আর কি! সালমান এখনও কিছু বলেননি। মৌনতা সম্মতির লক্ষণ।
সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের উসকানির কাছে হার না-মানা পারিবারিক মূল্যবোধেরও আমানত এই মসজিদ-প্রাঙ্গণ।
আড়াই দশক আগে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ নিয়ে তখন তোলপাড় গোটা দেশ। নিঃশব্দে উলটো পথে হাঁটছিল, এই মফসসলি মহল্লা। টালির চাল, বাঁশে ঘেরা মসজিদ ফের চাঙ্গা করে তুলতেই নতুন করে ইটের গাঁথনি বসছিল তখনই। পার্থ সারথি, তার চাচাতো ভাইয়েরা মিলে রাতের বেলা দল বেঁধে মসজিদ পাহারা দিতেন।
বাপ-চাচাদের কড়া আদেশ, তাদের এই ‘পারিবারিক মসজিদ’টিতে যাতে কোনো আঁচড়ও না পড়ে।ইফতারের আগে ইমাম সাহেবের পাশে পার্থ সারথিইফতারের আগে ইমাম সাহেবের পাশে পার্থ সারথি পড়েওনি, কারণ পাড়াপড়শি সবার বিশ্বাস- এই মসজিদই তাদের রক্ষা করে। রাজনীতির ঝড়বাদলের কোনও অভিঘাত এখানে ছাপ ফেলতে পারেনি।
দীপকবাবু কেরোসিনের ডিলার। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যৎসামান্য টাকা রেখে এখনও বারো আনাই উজাড় হয় মসজিদের যত্নে। এই বোসবাড়িরই ছেলে বম্বের প্রয়াত ফিল্ম ডিরেক্টর দিলীপকুমার বসু। তুতো ভাইরা মিলে ভাগাভাগি করে মসজিদের চেহারা ফিরিয়েছেন। ইমাম, মুয়াজ্জিনদের ডেকে এনে বসানো হয়েছে। সঙ্কটে-সমস্যায় হিন্দুরাও আসেন। কিন্তু কবচ-তাবিজ বিক্রির কোনও প্রশ্ন নেই।
‘বিশ্বাস বিশ্বাসের জায়গায় থাকুক! ধর্মব্যবসা কিন্তু হতে দেব না,’ জোর গলায় বলেন দীপক বসু। অনেক বছর আগে তাবিজ-কবজ বিক্রির দোষে এক ইমামকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
ইফতারের আয়োজনেও রাজনীতির ছোঁয়া লাগার জো নেই। কোনও নেতানেত্রীকে ডাকা হয় না। ‘ইফতার-পার্টি’ শব্দটাতেই ঘোর অ্যালার্জি পার্থর। ‘ইফতারের আবার পার্টি কী? এখানকার রোজাদারদেরও জাঁকজমক ভরা মোচ্ছব এড়িয়ে চলতেই অনুরোধ করা হয়!’
কেউ যাতে আঙুল তুলতে না-পারে, তাই এ মসজিদে নগদ অনুদান গ্রহণেরও নিয়ম নেই। একবার এক প্রভাবশালী ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মসজিদের দায়ভার কাঁধে নেয়ার প্রস্তাব এসেছিল। সবিনয়ে ফিরিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘এই প্রাণের মসজিদ কী করে ছেড়ে থাকব’।