g মিয়ানমার-বাংলাদেশ কাউকেই হাতছাড়া করতে চায় না চীন | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২৮শে আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার-বাংলাদেশ কাউকেই হাতছাড়া করতে চায় না চীন

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ১০, ২০১৭
news-image

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :নিজেদের পররাষ্ট্রনীতির আলোকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলছে চীন। এরইমধ্যে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মিয়ানমারের প্রতি নিরঙ্কুশ রাজনৈতিক সমর্থনের প্রমাণ মিলেছে। তবে বাংলাদেশকেও রুষ্ট করতে চায় না বেইজিং। কূটনীতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে দূরে না সরিয়েই মিয়ানমারকে সমর্থন যুগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। শরণার্থী সংকট সমাধানে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছে তারা।

 

২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ২ হাজার তাবু ও ৩ হাজার কম্বলসহ ১৫০ টনের ত্রাণ পাঠিয়েছে বেইজিং। পুরোপুরি মানবিক দিক বিবেচনায় এই সাহায্য করেছে বলে দাবি চীনের। তারা মনে করেন, বাংলাদেশের এই বোঝায় ভাগ নেওয়া উচিত তাদেরও। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সে ব্যাপারে চীন উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ত্রাণ দিয়ে পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।’

এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞ পরিচালনার প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে নিরাপত্তা পরিষদে ওঠা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে বেইজিং। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকটের বিতর্কেও চীন মিয়ানমারকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছে। পশ্চিমাবিশ্বের সমালোচনার তোপে পড়া মিয়ানমার যেন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় না পড়ে সেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করছে তারা।

 

চীনের জন্য রাখাইন রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারের সাবেক গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, কিয়াকফুতে সমুদ্রবন্দর করতে চায় চীন। এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিতে এই চেষ্টা তাদের। এজন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা রয়েছে চীনের। এছাড়া বঙ্গপোসাগর দিয়ে একটি রেলপথও তৈরি করতে চায় তারা, যার মাধ্যমে মিয়ানমার হয়ে ইউনান প্রদেশ যুক্ত হবে। বেল্ট এন্ড রোড প্রকল্পের জন্য তাদের এটা প্রয়োজন।

দ্য হিন্দু জানিয়েছে, চীন তাদের নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মিয়ানমার-বাংলাদেশ শান্তি আলোচনা চায়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘চীন নিজেদের মতো করে শান্তি আলোচনা শুরু করতে চায়। বেইজিং আশা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই পরিস্থিতি উত্তোরণে এগিয়ে আসবে এবং সংলাপের পথ সহজ করবে।’ এর আগেও এপ্রিলে চীনের এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূতা সুন গুয়াশিং বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ঢাকা ও নেপিডোকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়।

এ জাতীয় আরও খবর