g যশোরের জঙ্গি আস্তানায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২৮শে আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

যশোরের জঙ্গি আস্তানায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ৯, ২০১৭
news-image

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে জঙ্গি আস্তানা হিসেবে পুলিশের শনাক্ত করা বাড়িটি থেকে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। ফ্ল্যাটটিতে রাখা বোমা নিষ্ক্রিয় করছেন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এটা তারই শব্দ বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

প্রথম বিস্ফোরণটি হয় বিকেল চারটা ৪০ মিনিটে। এর প্রায় ১৬ মিনিট পর দ্বিতীয়বার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিকেল চারটা ৫৪ মিনিটে আরেকবার শব্দ শোনা যায়।

বাড়িটির কাছাকাছি থাকা সংবাদকর্মীরা জানান, এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার বলছেন, বাড়িটিতে যত বোমা আছে, তা সবই নিষ্ক্রিয় করা হবে। এর জন্য কত সময় লাগবে, তা তিনি নিশ্চিত নন।

সংবাদকর্মীরা বাড়িটি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে অবস্থান করছেন। ফলে বাড়িটিতে ঠিক কী ঘটছে, তা তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না। তবে খাদিজা ও তার তিন শিশুসন্তানকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার পর পরই বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য বাড়িটিতে ঢোকে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন।

ঘিরে রাখা বাড়িটিতে অবস্থান করা নারী খাদিজা তার তিনটি শিশু সন্তান নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এরই মধ্যে সংবাদকর্মীদের কাছে একটি ছবি আসে, যেখানে এক নারী ও তিনটি শিশুকে জানালার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবিতে ওই নারীকে খুবই চিন্তিত এবং তার শিশুসন্তানদের বিষণ্ন মনে হয়েছে সংবাদকর্মীদের কাছে। ছবিতে পাওয়া নারীই হলেন খাদিজা; আর শিশু তিনটি তার সন্তান। এর মধ্যে সবচে’ ছোটটি ছেলে।

সোমবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে খাদিজা আত্মসমর্পণ করেন বলে যশোরে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন।

আত্মসমর্পণের পর পরই খাদিজা ও তার তিন সন্তানকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে পেছনের রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেছে পুলিশ। তবে তাদের কোথায় নেয়া হয়েছে, পুলিশের কোনো সূত্র থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করতে চাওয়া ইনসপেক্টর পদমর্যাদার আরো একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাও খাদিজার আত্মসমর্পণের তথ্য দিয়েছেন; যারা সকাল থেকে ঘোপের ওই বাড়িটির কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন।

এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে খাদিজার বাবা-মাকে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের ঘিরে রাখা বাড়িটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, খাদিজাকে আত্মসমর্পণে রাজি করাতে তার বাবা-মাকে পাবনা থেকে আনা হয়েছে।
খাদিজার বাড়ি পাবনায়। তিনি স্বামীর সঙ্গে যশোরের ওই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন আগে তার স্বামীকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ জাতীয় আরও খবর