বুধবার, ১৪ই জুন, ২০১৭ ইং ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন উঠতি তারকা কায়া স্কোডলারিও

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ১২, ২০১৭
news-image

---

বর্তমান সময়ে হলিউডের একজন উঠতি তারকা কায়া স্কোডলারিও। সম্প্রতি ‘পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ান: ডেড মেন টেল নো টেলস’ এ ক্যারিনা স্মিথ চরিত্রের জন্য তিনি ১.৫ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পান। অন্যদিকে ব্রাজিলে তার নানী ইনেজ রোজম্যারি গত মার্চ মাসে হার্ট অ্যাটাক করেন এবং তার চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু তার জন্য বিন্দুমাত্র সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।

জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর থেকেই পরিবারের সাথে এক রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন কায়া স্কোডলারিও। তার আন্টি ফ্যাবিয়ানা মোরায়েস বলেন, ‘আমি খুবই বিরক্ত যে কায়া তার নানীর দিকে পৃষ্ঠদেশ প্রদর্শন করছে যখন তাকে তার সবচেয়ে বেশি দরকার। ইনেজ তাকে এবং তার মা, কাটিয়াকে অনেকভাবে সাহায্য করেছিল। তাই এটা আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না যখন তারা “না” বললো এবং যখন কিনা তাদের সবাইকে একসাথে কাজ করা দরকার।’

দ্যা মেজ রানার চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে কায়া স্কোডলারিও।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু চাই কায়া দেখুক তার নানী কেমন দিন অতিবাহিত করছে এবং সে যেন তার ব্যবহার পরিবর্তন করে। এমন সময়ে তার নানীকে ত্যাগ করাকে কখনও ক্ষমা করা যায় না। আমার মনে হয়, তার মাথায় এখন শুধুই অর্থের চিন্তা এবং সে ভুলে গেছে যে সে কোথা থেকে এসেছে। সে এখন আমাদের মতো দরিদ্র জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হতে চাইছে না।’

কায়া জন্মগ্রহণ করে ওয়েস্ট সাশেক্সের হেয়ওয়ার্ডস হেলথে। তার মা ব্রাজিল থেকে যুক্তরাজ্যে চলে যান যেখানে তার সাক্ষাৎ হয় রজার হামফ্রের সাথে এবং তার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সন্তান কায়ার নাম রাখা হয় তার ইতালিয়ান দাদার নাম অনুসারে। তবে মাত্র এক বছরেরও কম সময়ে তাদের বিয়ে ভেঙ্গে যায় এবং রজার চলে যান ভিয়েতনামে। এরপর থেকে কায়া লম্বা ছুটির দিনগুলো পার করতেন ব্রাজিলের সাও পাউলোর কাছের একটি শহর ইটুতে তার মায়ের আত্মীয়দের সাথে।

ফ্যাবিয়ানা বলেন যে, তিনি অনেক ব্যথিত হন যখন থেকে কায়া খ্যাতি পেতে শুরু করে এবং এ কারণে ফেসবুক থেকে সবাইকে ডিলিট করে দিতে শুরু করে। এমনকি ডিসেম্বর, ২০১৫-তে বেঞ্জামিন ওয়াকারের সাথে তার বিয়ের সময়েও সে কারও সাথে কোনো কথা বলেনি। তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে এবং শেষ নভেম্বরে তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়েছে। ফ্যাবিয়ানা বলেন, ‘কায়া এবং কাটিয়ার কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া হলে তারা একটি পাথর নীরবতা ছাড়া আর কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না।’

ব্রাজিলে চিকিৎসারত কায়ার নানী ইনেজ রোজম্যারি। 

বর্তমানে ইনেজের হার্টের অবস্থা এতই খারাপ যে তার হার্ট শতকরা ৮০ ভাগ অকেজো হয়ে গেছে। ডাক্তার বলেন, ‘বিশেষ মেডিকেল কেয়ার ছাড়া তিনি আর তিন মাসের বেশি বাঁচতে পারবেন না। আবার এই কথারও কোনো মেডিকেল ইনসিউরেন্স করা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কায়া এবং কাটিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে এবং আর্থিক সহযোগিতার জন্য আবেদন করলে তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তারা জানতেও চাইছে না যে, কে কেমন আছে। এমনকি কায়া এটাও জানে না যে ইনেজ এখনও জীবিত আছেন কিনা।’

সূত্র: দ্যা সান