মঙ্গলবার, ২০শে জুন, ২০১৭ ইং ৬ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

পাহাড় ধসে নিহত ১৩০

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ১৩, ২০১৭
news-image

---

বান্দরবান প্রতিনিধি : সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনীর চার সদস্যসহ নিহত হয়েছে অনন্ত ১৩০ জন। নিহতদের মধ্যে রাঙামাটিতে চার সেনা সদস্যসহ ৯৮ জন, বান্দরবানে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট সাত জন, চট্টগ্রামে চার পরিবারের ১৬ জনসহ ২৫ জন রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও শ’খানেক মানুষ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাহাড়ি ঢল ও অতিবর্ষণে সোমবার রাত ও মঙ্গলবার সকালে তিন জেলায় পাহাড় ধসের এসব ঘটনা ঘটে।

রাঙামাটির মানিকছড়িতে পাহাড় ধসে সেনা ক্যাম্প ধসে পড়ে। গাছপালা ভেঙে পড়ায় ও মহাসড়কে পানি উঠে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্গত এলাকা পানিবন্দি থাকায় অনেক স্থানে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎও।

পানিবন্দি হয়ে তিন জেলায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অনন্ত দুই কোটি মানুষকে। ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় অনেকে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। পাহাড় ধসের ঘটনায় আহতরা আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সোমবার বেলা ১২টা থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাহাড়ধসে সেনা কর্মকর্তাসহ ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পাহাড় ধসে নিহত ১৩০
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও চন্দনাইশে পাহাড় ধসের ঘটনায় মোট ২৩ জন নিহত হয়েছে। সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় এবং গাছ পড়ে থাকায় রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজারের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হচ্ছে চালসহ বিভিন্ন সামগ্রী।’

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান বলেন, ‘নিহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে। বুধবার ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে একটি টিম রাঙামাটিতে আসবে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘রাত ১০টা পর্যন্ত ৮৮ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। এর মধ্যে ৫২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।’

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় মঙ্গলবার জরুরি সভা আহ্বান করেছি। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বন্যায় যারা প্লাবিত হয়েছে তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।’

পাহাড় ধসে নিহত ১৩০
রাঙামাটিতে সেনা সদস্যসহ নিহত ৯৮

রাঙমাটির ভেদবেদী, যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা, রাঙ্গাপানি, উলুছড়ি, শিমুলতলীসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহত হয়েছে সেনাবাহিনীর চার সদস্যসহ মোট ৯৮ জন। এর মধ্যে রাঙামাটি শহরে ৫৩ জন, কাউখালীতে ২৩ জন, বিলাইছড়িতে দুজন, জুরাছড়ি উপজেলায় দুজন ও কাপ্তাইয়ে রয়েছে ১৯ জন। তাদের মধ্যে রাঙামাটি সদর উপজেলায় চার সেনা সদস্য ৪৫ জন নিহত হয়েছে।

নিহত সেনা সদস্যরা হলেন—মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ক্যাপ্টেন তানভীর সালাম শান্ত, করপোরাল মো. আাজিজুল হক ও সৈনিক মো. শাহীন আলম। অন্য নিহতরা হলেন—নাইমা আক্তার (৬), রুমা আক্তার (২৫), নুরী আক্তার (৩), হাজেরা বেগম (৪০), সোনালী চাকমা, অমিয় চামমা, আইয়ুশ মল্লিক (২), চুমকী মল্লিক (২২), লিটন মল্লিক (২৮), মিল্টন প্রকাশ মিন্টু ত্রিপুরা (৪৫), মিলি চাকমা (৫৫), ফেন্সী চাকমা, মাহবুব আলম (৫০), মো. শাহীন (২৫) , হিরনবী চাকমা, সীমা চাকমা (৩২), সুজন চাকমা (৭), বন্যা চাকমা।

বিলাইছড়ি উপজেলায় নিহত দুই জন হলেন—শহীদ ও রেঞ্জু। জুরাছড়ি উপজেলায় নিহতরা হলেন—চিত্রাঙ্গমুখী চাকমা (৫০) ও বিশ্বমনি চাকমা (১০)।

সেনাবাহিনীর স্থানীয় সূত্র জানায়, উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়েই নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর চার সদস্য। সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজনের সঙ্গে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে পড়ে থাকা পাহাড় ধসের মাটি সরাতে গিয়ে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর মাহফুজ, ক্যাপ্টেন তানভীর, করপোরাল আজিজ ও সৈনিক শাহীন।

সড়ক ও জনপথের সাবস্টেশন ইঞ্জিনিয়ার আবু মুসা জানান, রাঙামাটি সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক ফের চালু করতে এখানে মোট ১৫ জনের মতো কাজ করছিল। হঠাৎ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলে মারা যান সেনাবাহিনীর চার সদস্য। এখানে গুরুতর আহত হয়েছে সেনাবাহিনীর আরও পাঁচ জন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।

কাউখালী প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে নারী-শিশুসহ ২৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে তিন শতাধিক ঘর। মাটিচাপা পড়েছে দুই শতাধিক কাঁচাঘর। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

রাত ১০টায় প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী নিহতরা হলেন—বৈশাখী চাকমা (৭), ইসাহাক মিয়া (৩০), মো. মনির (৩০), ফাতেমা বেগম (৬০), নুসুমা বেগম, অংচিং মারমা (৫২), আশেমা মারমা (৩৪), তেমা মারমা (১২), ক্যাথাইচিং মারমা, লায়লা বেগম (২৮), খোদেজা বেগম, নুরজাহান বেগম (৮০), দবির উদ্দিন, (৯০), শোভা রানী চাকমা (৫৫), লাইপ্রু মারমা (৬৫)। অপর ৬ জনের নাম রাত ১০টা পর্যন্ত জানাতে পারেনি প্রশাসন।

আমাদের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম লাভলু জানান, কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধস, গাছ পড়ে ও ঢেউয়ের স্রোতে ভেসে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কারিগর পাড়া ও মিথিঙ্গাছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হয়েছে। ওয়াদগা মুরালি পাড়া এলাকায় একজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাছ পড়ে দুজন ও নদীতে ভেসে একজন মারা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে আছে—নোমান (৫), রুবি (২১), নুরুন্নবী (৫০), রমজান আলী (৫), আবুল হোসেন (৩২), রবি তঞ্চঙ্গ্যা (৩৩), উচিংনু মারমা (৪০), নিতুই মারমা (৬)। অপর ৭ জনের নাম রাত ১০টা পর্যন্ত জানাতে পারেনি প্রশাসন।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তিন পরিবারের ১৩ জনসহ নিহত ২১

আমাদের রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি মাসুদ নাসির জানান, সোমবার রাতে পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙ্গুনিয়ার রাজা নগরের এক নম্বর ওয়ার্ডের বগাবিল গ্রামে আট জন ও ইসলামপুরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলি ঘোনা এলাকায় ১১ জন নিহত হয়। নিহত ২১ জনের মধ্যে তিন পরিবারেরই রয়েছে ১৩ জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছে এক পরিবারের তিনজনসহ মোট ছয় জন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, রাজানগরের দিনমজুর নজরুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা আক্তার বাচু (৩৫), ছেলে নানাইয়া (১৫), মেয়ে সাফিয়া আক্তার (৯) এবং একই এলাকার দিনমজুর মো. ইসমাইল (৩৭), তার স্ত্রী মনিরা আক্তার (২৬), দুই মেয়ে ইভা (৮) ও ইছা (৪) নিহত হয়েছে। ইসলামপুরের অপর ঘটনায় মইন্যারটেক এলাকার মো. সেলিমের ছেলে সুজন (৪২), তার স্ত্রী মুন্নি (৩১), মেয়ে জোসনা (১৮), শাহানু (১৬) ও ফালুমা (১৪) নিহত হয়েছে। সুজনের এক বছরের মেয়ে মিম নিখোঁজ রয়েছে। একই এলাকায় হেজু মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম, মো. হানিফের ছেলে মো. হোসেন, বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. পারভেজ, সিদ্দিকের স্ত্রী রিজিয়া বেগম, মফিজুর রহমানের মেয়ে মুনমুন আক্তার, মফিজের ছেলে হিরু মিয়া, জোসনা বেগম ও মো. হানিফ নিহত হয়।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. সেকান্দর এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, হোসনাবাদ ইউনিয়নের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক মেয়ে এবং কানুরখীলের আশীষ চৌধুরী পরিবারের মা, মেয়ে, ছেলেসহ তিন জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে উদ্ধারকাজ অব্যাহত আছে। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে দাফন-কাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা ও ক্ষতিগ্রস্তদের ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

বান্দরবানে তিন ভাইবোনসহ নিহত ৭

বান্দরবানে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৯ জন। তাদের মধ্যে তিন ভাই-বোন রয়েছে। মাটির নিচে চাপা পড়ে এখনও নিখোঁজ রয়েছে মা ও মেয়ে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে তিনজন।

সোমবার রাতে পাহাড় ধসে কালাঘাটা এলাকার কলেজ ছাত্র রেবি ত্রিপুরা (১৮) নিহত হন। তিনি একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মাটির নিচে চাপা পড়েন তিনি।

পার্শ্ববর্তী জাইল্ল্যা পাড়ার মা ও মেয়ে মাটির নিচে চাপা পড়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ১০টা) নিখোঁজ রয়েছে মা কামরুন নাহার (৪০) ও তার মেয়ে সুফিয়া আক্তার (১৩)। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

লেমুঝিরি আগা পাড়ায় তিন ভাইবোন পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে মারা গেছে। তারা হলো সেতু বড়ুয়া (১০), হৃদয় বড়ুয়া (৭) ও লতা বড়ুয়া (৩)। আহত হয়েছে তাদের বাবা সাধন বড়ুয়া।

এদিকে, সদর উপজেলা কুহালং ইউনিয়নের কম্বোনিয়া গ্রামে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে নিহত হয়েছে তিনজন। তারা হলেো—মোকাংয়ো খিয়াং (৫৫) ও ক্যসা খিয়াং (৭)। তারা সম্পর্কে নানা-নাতি। তাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়েছে নিকটাত্মীয় মেম্রাউ খিয়াংও (১৩)। তিনি গত রোববার দুপুরে বেড়াতে গিয়েছিল তার বাড়ি কুহালং ইউনিয়নের ডুলুপাড়া এলাকায়। একই ঘটনায় আহত হয়েছে নিহতদের পরিবারের সদস্য চাইহ্লাউ খিয়াং (৩৫) ও সানু খিয়াং (১৮)। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।

পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন ভাইবোন ও অন্য পরিবারের মা-মেয়ে মারা যাওয়ায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এই দুর্ঘটনার পর শহরের লাংগির চর, মুসলিম পাড়া, ক্যচিং ঘাট, বনরূপা, কালাঘাটা, বাসস্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতেও হচ্ছে মাইকিং।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে তিনজনসহ নিহত ৪

আমাদের দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ছনবন্যা ও শামুকছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসে শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে।

ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম জানান, অব্যাহত বর্ষণের কারণে তার ইউনিয়নের ছনবন্যা এবং শামুকছড়ি এলাকায় একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন নিহত হয়েছে।

ছনবনিয়ায় নিহতরা হলো—ম্যোকাইং ক্যায়াং (৫০), ম্যে ম্যাও ক্যায়াং (১৩) ও ক্যাওস্যা ক্যায়াং (৮)। এখানে আরও দুইজন আহত হয়েছে। আহতরা হলো—ছ্যান্যুও ক্যায়াং (১৮) ও ত্যেলাও ক্যাও ক্যায়াং (৩৫)। আহতদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শামুকছড়িতে নিহত শিশু হলো মাহিয়া (৩)।

অবিরাম বর্ষণে পানি বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ কসাইপাড়া অংশ এবং কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের বাজালিয়া অংশ ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এ সড়ক দুটিতে কোন ধরনের গাড়ি চলতে পারেনি।সমকাল

এ জাতীয় আরও খবর