পাকিদের টিকে থাকার লড়াই আজ
---
স্পোর্টস ডেস্ক :চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটে-বলে নাকাল করে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ দিবারাত্রির ম্যাচে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বার্মিংহামে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য থাকবে জয়ের ধারা বজায় রাখা। সেই সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা। অন্যদিকে হারলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে যাবে পাকিস্তান, যে কারণে তারাও টিকে থাকতে চেষ্টার ত্রুটি রাখবে না।
ভারতের কাছে পাকিস্তান পরাজিত হয় ১২৪ রানের বড় ব্যবধানে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯৬ রানের জয়টাকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। হারলেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা থাকার কারণে পাকিস্তানিরা হয়তো মরিয়া লড়াই চালানোর বিষয়ে ভাবছে, কিন্তু ওডিআই র্যাংকিংয়ের এক নম্বরে থাকা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে র্যাংকিংয়ের আট নম্বরে থাকা দলটা লড়াই করতে পারবে কিনা, তা নিয়েও সংশয় আছে।
ভারতীয় বোলিং ডিপার্টমেন্টের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করা পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ এমনিতেই চাপের মুখে আছে। ভারতের পেসারদের সামাল দিতে নাকানি-চুবানি খাওয়া পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের সামনে প্রোটিয়া পেস ব্যাটারি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস ডিপার্টমেন্টে নবীন কাগিসো রাবাদার নেতৃত্বে দুই সিনিয়র মর্নে মরকেল এবং ওয়াইনে পার্নেল। সব ফরমেটে রান পাওয়া ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা আছেন প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপের টপঅর্ডারে। আছেন অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং ফাফ ডু প্লেসিস। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স বড় ইনিংস খেলার চেষ্টায় থাকবেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) দুর্দান্ত খেলা ক্রিস মরিস ব্যাটে-বলে নিজের দিনে প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় বইয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। এই অলরাউন্ডারকে নিয়েও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকবে পাকিস্তান। পেস বোলিং বরাবরই পাকিস্তান দলের মূলশক্তি। কিন্তু ভারতের সঙ্গে ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়ে ওয়াহাব রিয়াজ দলের বাইরে চলে যাওয়াতে কিছুটা হলেও দুর্বল হয়েছে পাকিস্তানের পেস ডিপার্টমেন্ট। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচে জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের টিকে থাকার স্বপ্নও বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে। ভারতের সঙ্গে ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরও। তার ফিটনেস নিয়েও সংশয় আছে। দুই ক্রিকেটারের ইনজুরির কারণে ফাহিম আশরাফ, ফকর জামান এবং জুনায়েদ খানের মতো খেলোয়াড়ের পাকিস্তান দলে ডাক পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকান দলে এরকম কোন সমস্যা নেই। উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জয়ী হওয়া একাদশই মাঠে নামাবে প্রোটিয়ারা। দুর্বল ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে পাকিস্তানের বোলিং ডিপার্টমেন্টও এখন খর্বশক্তির। এখানেই শেষ নয়।
ফিল্ডিংও ভালো হচ্ছে না পাকিস্তানের। ভারতের সঙ্গে ম্যাচে বেশ কয়েকটা ক্যাচ ড্রপের ঘটনায় বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়েছে। আইসিসির ওডিআই র্যাংকিংয়ের এক নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে জয় পেতে হলে র্যাংকিংয়ের আট নম্বর দল পাকিস্তানকে উইকেট পতনের জন্য পাওয়া সুযোগগুলোর প্রতিটাকেই কাজে লাগাতে হবে। ভারতের বিপক্ষে হতাশার ছাপ রাখা পাকিস্তানের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টকেও নিজেদের সেরাটা দেয়া চাই।