অধিকাংশ মার্কিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘আগ্রাসী’ ভূমিকা চায়
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজ দেশ অগ্রনী ভূমিকা পালন করুক – এমনটিই চায় বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক। কিন্তু অর্থনীতি ও নিরাপত্তাই তুলনামূলকভাবে তাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে। রয়টার্স-ইপসোসের এক যৌথ জরিপে এমনটিই দেখা গেছে।
২-৪ জুন চালানো এ মতামত জরিপে উঠে এসেছে যে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার কারনে আমেরিকার নাগরিকরা ট্রাম্পের উপর ক্ষুদ্ধ হলেও তারা তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে চান না। তবে তারা চান, আমেরিকা চুক্তিটি মেনে নিক।
জরিপে দেখা গেছে, ৬৮ শতাংশ আমেরিকান মনে করে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বৈশি^ক উদ্যোগের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। আর ৭২ শতাংশ মনে করে, যে পরিমাণে গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসৃত হচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত জলবায়ু পরিবর্তন থামাতে জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া।
এতকিছুর পরও অবশ্য আমেরিকানরা পরিবেশকে তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় অনেক নিচেই রাখছে। মাত্র ৪ শতাংশ মার্কিনী মনে করে, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি, সন্ত্রাসবাদ, অভিবাসন, শিক্ষা, অপরাধ ও নৈতিকতা তাদের কাছে পরিবেশের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মার্কিন অর্থনীতির উপর কি প্রভাব ফেলবে সে বিষয়েও জনসাধারণ দ্বিধাবিভক্ত। ৪১ শতাংশ বলছে এতে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, ৪৪ শতাংশ তাতে একমত নয়।
জরিপে পাওয়া যায়, ৫০ শতাংশ মার্কিনী মনে করে, আমেরিকা চুক্তি থেকে সরে আসার ফলে বৈশি^ক উষ্ণতা বৃদ্ধি দ্রুত বাড়বে। ৬৪ শতাংশ ভাবছেন, এর ফলে আমেরিকার সঙ্গে অন্যান্য দেশগুলোর সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
জরিপে দেখা গেছে, এ ব্যাপারে মার্কিনীরা দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। রিপাবলিকান সমর্থকরা ট্রাম্পের সমর্থন করছেন, ডেমোক্র্যাটরা বিরোধিতা করছেন।
সব মিলিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে ৩৮ শতাংশ ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করেন, ৪৯ শতাংশ নেতিবাচক মনোভাব দেখান ও ১৩ শতাংশ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
এর আগে গত ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার জানান, ২০১৫ সালে ১৯৫টি দেশ কর্তৃক স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসবে। এতে বিশ^নেতা ও ব্যবসায়ীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। তবে ট্রাম্পের বক্তব্য, চুক্তির ফলে মার্কিন অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স অনলাইন