বৃহস্পতিবার পর্দা উঠছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির
---
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর মাঠে গড়াচ্ছে বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে এই আসরের পর্দা উঠবে। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় লন্ডনের কেনিংটন ওভালে খেলা শুরু হবে। তবে কেমন হবে এই লড়াই তা নিয়ে বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ড শিবির তেঁতে আছে। স্বাগতিক দেশ হিসাবে কন্ডিশনের সুবিধা তো ইংল্যান্ডই পাবে, কিন্তু বাংলাদেশের কী আছে? এই প্রশ্নটি টাইগার কোচ, খেলোয়াড় আর বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের। তবু জয়ের আশায় বুক বেধে আছেন দলপতি মাশরাফি বিন মোর্তুজা। তিনি বলছেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভালো খেলেই আমরা জয়ের আশা রাখি। ওরা (ইংল্যান্ড) অনেক শক্ত প্রতিপক্ষ। তবে কোনো খেলোয়াড়কেই আমরা ভয় পাই না।
ওদিকে ইংল্যান্ড তাবু কিন্তু স্বস্তিতে নেই। তাদের সাবেকরা অনেক মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ দল নিয়ে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাশরাফিরা জিততে পারে বলে ধারনা করছেন ইংলিশ দলটির সাবেক তারকা ইয়ান বেল। তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের কঠোর মনোভাব নিয়ে মাঠে নামার পরামর্শ দিলেন তিনি। ইংলিশরা কে কি বললেন, তা নিয়ে একদমই ভাবছেন না টাইগার দলপতি। বুধবার হালকা অনুশীলন শেষে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উদ্বোধনী ম্যাচ নিয়ে কোচ হাতুরু সিংহের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনাও হয়েছে ক্রিকেটারদের।
লন্ডনের কেনিংটনে শুরু হতে যাওয়া আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অস্টম আসর। এই আসরে খেলতে হলে র্যাংকিংয়ের সেরা আট দলের মধ্যে থাকতে হয়। আট বছর আগে বাংলাদেশ আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে সেরা আটে ছিল না বা শীর্ষ আট দলের ভিতরে জায়গা করে নিতে পারেনি। পারেনি বলেই ২০০৬ সালে ভারতের মাটিতে পঞ্চম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই শেষ। এরপর ২০০৯ আর ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা হয়নি বাংলাদেশের।
তবে ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে শীর্ষ আট দলের মধ্যে ছিল না। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছে। কারণ ওই সময়ে র্যাংকিংয়ের বালাই ছিল না। গত চার আসরে বাংলাদেশ খেলেছে টেস্ট খেলুড়ে দেশের কোটায়। তখন সব টেস্ট খেলুড়ে দেশ সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পারত। ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হওয়া চার আসরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফরম্যাট ছিল অনেকটাই বিশ্বকাপের আদলে তৈরি। সেখানে আইসিসির ১০ পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশ তথা সব টেস্ট খেলুড়ে দল এমনিতেই খেলতে পেরেছে। র্যাংকিংয়ের কোনো বাছবিচার ছিল না।