যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায়
---
ইসলাম ধর্মের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া রোজা ভাঙা হারাম। জেনে বা না জেনে যেসব কারণে রোজা ভাঙে তা উল্লেখ করা হলো।
ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে
স্ত্রী সহবাস করলে
কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙবে না)
ইচ্ছাকৃত বমি করলে
নস্যি গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষুধ বা তেল প্রবেশ করালে
জোর করে কেউ রোজা ভাঙালে
ইনজেকশন বা স্যালাইনের মাধ্যমে শরীরে ওষুধ গ্রহণ করলে
কাঁকর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে
সূর্যাস্থ হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সূর্যাস্থ হয়নি
পুরো রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে
দাঁত হতে ছোলা পরিমাণ খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে
ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জালিয়ে ধোয়া গ্রহণ করলে
মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে
রাত আছে মনে করে সুবেহ সাদিকের পর পানাহার করলে
মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবেহ সাদিকের পর ঘুম হতে জাগলে (এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে)
আর যদি রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে স্বামী-স্ত্রী সহবাস অথবা পানাহার করে তবে কাজা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে।
রোজা মাকরু হবার কারণ :
অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা
কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা
গড়গড় করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া। কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে
ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গলাধঃকরণ করা
গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফ্যাসাদ করা
সারাদিন নাপাক অবস্থায় থাকা
অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা
কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা
সূত্র : আরটিভি