g দি ট্রাম্প কার্ড : যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বে সর্ববৃহৎ সমরশক্তির দেশ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ২৩শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ৮ই ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

দি ট্রাম্প কার্ড : যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বে সর্ববৃহৎ সমরশক্তির দেশ

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ১৩, ২০১৭

---

বছরে ৪৬৫ বিলিয়ন পাউন্ড সামরিক বরাদ্দ, ১৯টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ও ১৩ হাজারের বেশি জঙ্গি বিমানসহ নানা ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্রেশস্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছে। এরপর রয়েছে রাশিয়া ও চীন। চলতি বছরেও নিউ গ্লোবাল র‌্যাংকিং’এ শীর্ষ সমরশক্তির দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ আসনটি ধরে রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক ব্যয়, লোকবল ও স্থল, সমুদ্র ও আকাশে শক্তির মহড়ায় অনেক পিছনে রয়েছে রাশিয়া, চীন ও ব্রিটেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সামরিক বাজেট আরো ৪২ বিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধি করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে সমর শক্তিতে প্রাধান্য বজায় রাখা। দেশটির সামরিক শক্তিতে লোকবল রয়েছে ১৪৫ মিলিয়ন বা ১৪ কোটি ৫২ লাখ ১৫ হাজার। চীনের সামরিক খাতে লোকবল রয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন এবং এক্ষেত্রেই শুধু চীন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে এগিয়ে। যেখানে রাশিয়া রয়েছে সামরিক লোকবলের দিক থেকে অষ্টম স্থানে ৭০ মিলিয়ন লোকবল নিয়ে।
সেনাবাহিনীর ট্যাংকের সংখ্যায় চীনের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তৃতীয়। প্রথমে রয়েছে রাশিয়া এবং এদেশটির ট্যাংকের সংখ্যা ২০ হাজার ২১৬, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন ও এদেশটির ট্যাংকের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৫৭ টি ও যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ৫ হাজার ৮৮৪টি। কিন্তু স্থল শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়ার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও জল ও আকাশে দেশটি অনেক এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিমান রয়েছে ১৩ হাজার ৭৬২টি, রাশিয়ার ৩ হাজার ৭৯৪ ও চীনের ২ হাজার ৯৫৫টি। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী রয়েছে ১৯টি। বিমানবাহী রণতরীর দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই জাপান ও ফ্রান্সের অবস্থান ও এদুটি দেশের বিমানবাহী রণতরী রয়েছে ৪টি করে । সেদিক থেকে চীন একটি বিমানবাহী রণতরী নিয়ে অবস্থান করছে ৯ম
২০১৭ সালের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি সম্পর্কে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করে তার একমাসের মাথায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশের সামরিক বরাদ্দ আরো ৫৪ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন, সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে তার বরাদ্দ প্রাধান্য পাবে।ইতিমধ্যে ট্রাম্প মার্কিন সামরিক বরাদ্দ ১০ ভাগ বৃদ্ধি করেছেন যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, আমরা নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করছি এবং কম অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলো কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে অধিকাংশ ফেডারেল এজেন্সিগুলো বরাদ্দ হ্রাস দেখতে পাচ্ছে। তবে ওই কর্মকর্তা কোন কোন খাতে যুক্তরাষ্ট্র বাজেট বরাদ্দ হ্রাস করছে তা সুস্পষ্টভাবে না জানালেও বিদেশি সাহায্য ও স্থানীয় পর্যায়ের সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে বরাদ্দ কমছে বলে জানান। ডেইলি স্টার ইউকে

এ জাতীয় আরও খবর