শুক্রবার, ১৪ই জুলাই, ২০১৭ ইং ৩০শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সাত খুন: আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুতি

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৭, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রেপারবুক প্রস্তুত করে আজ দুপুরে বিজি প্রেস থেকে হাইকোর্টে নিয়ে আসা হয়। প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

সাব্বির ফয়েজ জানান, প্রধান বিচারপতি শুনানির জন্য বেঞ্চ ঠিক করে দিলে এ মামলার শুনানি শুরু হবে।

গত ২২ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। সাধারণ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত।

গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনই র‌্যাবের সাবেক সদস্য।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া র‌্যাব-১১-এর সাবেক সদস্যরা হলেন- চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকিরা হলেন সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তাঁর সহযোগী মিজানুর।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে প্রকাশ্যে সড়ক থেকে সাত জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে উদ্ধার হয় আরও এক জনের মরদেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয় নারায়ণগঞ্জে।

পুলিশের তদন্তে প্রকাশ পায় যে, আওয়ামী লীগ নেতা নুর হোসেনের কাছ থেকে টাকা খেয়ে নারায়ণগঞ্জ র‌্যাবের সে সময়ের শীর্ষ ব্যক্তিরা কাউন্সিলর নুর হোসেনকে খুন করার উদ্যোগ নেয়। ঘটনাচক্রে অপহরণ করা হয় বাকিদেরকেও। পরে কলকাতায় আটক নুর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করে সরকার।