বুধবার, ১০ই মে, ২০১৭ ইং ২৭শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনে দিনে বেড়ে উঠছে শিশু শ্রম

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৬, ২০১৭

বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেশের কয়েকটি প্রাচীনতম শহরের মর্ধ্যে একটি পুরাতন মফস্বল জেলা শহর। শিক্ষা -সংস্কৃতি, খেলাধূলা আর বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে এর খ্যাতি রয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু আধুনিক জীবনযাএার সাথে সবকিছু পরিবর্তন আসলে দানে দিনে বেড়েই চলেছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। এসব শ্রমিক কাজ করছে ওয়ার্কসপ, গ্যারেজ কিংবা বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে নতুবা হোটেল রেষ্টুরেন্টে। সংসারের আর্থিক কষ্ট, পড়া-লেখার সুযোগের অভাবসহ নানা টানা পোড়ানে পিষ্ট এসব শিশুর জীবন। শিশু শ্রম অপরাধ জেনেও অভাব-অনটনকে দায়ী করছেন সুবিধা ভোগী মালিকরা। তবে পরিস্থিতি বদলাতে নানা উদ্যোগের কথাও জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে পথে-ঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন অনেক শিশু, যারা নানা কাজে নিয়োজিত। ওয়ার্কসপ, গ্যারেজ, ঠেলা গাড়ী, ওয়েলডিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে শিশুরা। এতে করে দিন দিন বেড়েই চলছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। যে বয়সে তাদের হাতে বই-কলম থাকার কথা, সে বয়সেই কঠিন সব কাজে ব্যস্ত শিশু শ্রমিকরা। সংসারে অভাব-অনটন কিংবা বাবার দূর্বলতার কারণেই পড়া লেখা ছেড়ে এসব কাজ করছে তারা। আবার কেউ নিজের ও পরিবারের খাবার যোগাতে এমন সব ঝূঁকিপূর্ণ কাজ হাতে নিতে বাধ্য হয়েছে বলেও জানায় অনেকে শিশু। বিনিময়ে পাচ্ছে প্রতি মাসে ১৫ শ থেকে ২ হাজার টাকা।
মালিক পক্ষ শিশু শ্রম অপরাধ জেনে ও তাদের কম বেতনে লোক খাটানোর সুবিধা গ্রহণ করছেন । আবার তারা বলছেন ভিন্ন কথা,  অভাবের কারনে এসব শিশুদের বাবা-মা পড়া-লেখার খরচ বহন করতে পারছেনা। এতে ওইসব শিশু দিন দিন অলস হয়ে পড়ে। যার ফলে গ্যারেজ, ওয়ার্কসপসহ বিভিন্ন কাজে নিজ দায়িত্বে দিয়ে যায় বাবা-মা। এভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশু শ্রমিকরা নানান রকম কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলেও আর হয়ে ওঠেনা। তবে এ বিষয়ে শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বলেছেন, যারা অভাব অনটনের কারণে লেখা-পড়া করতে পারছেনা এসব শিশুদের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের দুঃস্থ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মুল স্রোত ধারায় নিয়ে আসার কথা বলেন তারা।
তবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্তারা বলছেন, অবহেলীত এসব শিশুদের ব্যাপারে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝড়ে পড়া শিশুদের শিক্ষামুখী করে তুলবে  এমনটাই আমাদের সকলের  প্রত্যাশা।