কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ও নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ মেঘদূত এ চেপে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
এসময় কক্সবাজারের সম্প্রসারিত রানওয়ে ব্যবহার করে নামার পর বিমানবন্দরে বড় আকারের উজোজাহাজ চলাচল উদ্বোধনের পর মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকারের নির্মাণ করা এ বিমানবন্দরটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এতদিন কেবল ড্যাস কিউ ৪০০ মডেলের ৭৪ আসনের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে এবং এর চেয়ে ছোট যাত্রীবাহী ও কার্গো উড়োজাহাজই এ বিমানবন্দরে ওঠানামা করত।
কিন্তু কক্সবাজারকে একটি আধুনিক পর্যটন নগরী এবং মহেশখালীকে বিনিয়োগের ‘হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরুর প্রোক্ষপটে সরকার এ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার কাজ শুরু করেছে।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কের ইনানী এলাকায় আনুষ্ঠানিক উন্মুক্তকরণ ফলক উন্মোচন করবেন তিনি।
এ সড়কে ১৭টি ব্রিজ, ১০৮টি কালর্ভাট রয়েছে। যেখানে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। সেখান থেকে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়ে বেলা আড়াইটায় মঞ্চ থেকে উদ্বোধন করবেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের ১০০ শয্যার ছাত্রী হোস্টেল, একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষার হল, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ১০০ শয্যার ছাত্রী হোস্টেল, উখিয়ার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবন, মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন।
এছাড়াও ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করা হবে, বিমান বন্দর প্রকল্পের বাঁকখালী খালে ৫৯৫ মিটার খুরুশকুল ব্রিজ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার আইটি পার্ক, এলএনজি টার্মিনাল, ইনস্টেলেশন অব সিংগেল পয়েন্ট মুরিং, নাফ ট্যুরিজম পার্ক, কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) অফিস ভবন।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, আড়াই বছর পর কক্সবাজার গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটা কক্সবাজারে তার পঞ্চম সফর।