সাসেক্সকে সহজেই হারালো বাংলাদেশ
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিং অনুশীলন করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। তাতে ফল না হওয়ায় হয়তো আক্ষেপেই পুড়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তবে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে তার ষোলো আনা স্বাদ তুলে নিয়েছেন মিরাজ-তাসকিনরা। সাসেক্স একাদশকে ১৩৪ রানে হারিয়ে ক্যাম্পেইনের প্রথম জয় পেলো বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের ৩১৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নামা সাসেক্স একটা সময় ভালোই জবাব দিচ্ছিল। ২৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলে ১০০ রান। তবে একটু পরেই আচমকা পাল্টে যেতে থাকে স্বাগতিকদের ইনিংস। ১১৬ রানেই বিদায় নেন ৪জন। সাসেক্সের হয়ে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ ৩২ রান করে তাসকিনের বলে সোহানকে ক্যাচ দেন। সেই দলটিই ধীরে ধীরে গুটিয়ে যায় ১৮০ রানে। ওপেনার রবসন সর্বোচ্চ ৪৯ রান করলেও তাকে বোল্ড করেন সানজামুল। এছাড়া ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন জেনার। বল হাতে তেমন কিছু করতে না পারলেও শেষ দিকে নেমে শফিউল করেছেন ১৩ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে একাই ৬ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি করে নেন শুভাশিষ রায় ও তাসকিন আহমেদ। একটি করে নেন সৌম্য সরকার, সানজামুল ও সাব্বির রহমান।
এর আগে অবশ্য ব্যাটিং আগ্রাসন ধরে খেলেছে বাংলাদেশ। হোভে টস হেরে ব্যাট করে সাসেক্স একাদশের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৩১৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সফরকারীরা। মজার বিষয় হলো আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষেই খেলেছেন শফিউল ও মাহমুদউল্লাহ!.
টসে হারলেও শুরু থেকে আগ্রাসী ছিল বাংলাদেশ। যাতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেসার ইমরুল। যদিও ৬ রানে ফিরে যান আগের দিন দুর্দান্ত খেলা সৌম্য সরকার। এরপর সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নেন ইনিংস। ৪৫ বলেই পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। বাংলাদেশ শত রান পূরণ করে ১৮তম ওভারেই।
ইমরুলের মতো হাফসেঞ্চুরি করেন সাব্বির রহমানও। যদিও ব্যক্তিগত ৫২ রানে তাকে তালুবন্দি করেন ডাউবার্ন। দুর্দান্ত খেলা ইমরুল অবশ্য ৯২ রানে রিটায়ার্ড আউট হয়ে যান। বাকিদের খেলার সুযোগ দিতেই সেঞ্চুরি পূরণ করা হয়নি ইমরুলের।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মুশফিক অবশ্য এদিন ৪০ রানেই ফিরে যেতে বাধ্য হন। আগের দিন সেঞ্চুরি করে আলো ছড়ালেও এদিন আর বেশি দূর এগোতে পারেননি। নাসির এই ম্যাচে মাত্র ৬ রানেই ফেরেন সাজঘরে।
২১৬ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস বড় ভিত্তি পায় সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। সোহান ২৭ রানে ফিরে যান সাজঘরে। আর ৩০০ রান পূর্ণ করার সঙ্গে সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করেন স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ। ৫২ বলে এই রান পূরণে মেহেদী মারেন ৪টি চার ও ২টি ছয়। শেষ পর্যন্ত মেহেদীর অপরাজিত ৬০ রানে ৯ উইকেটে ৩১৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।