বুধবার, ১০ই মে, ২০১৭ ইং ২৭শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধুনিক যন্ত্রদিয়ে ধান কর্তন করায় কৃষকরা লাভবান

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৪, ২০১৭
news-image

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ধান কর্তন, মাড়াই ও ঝাড়াই করায় কৃষকরা খুবই লাভবান হচ্ছে। এতে তাদের খরচ কম পড়ছে ও শ্রমিক সংকট সমস্যা দূরীভুত হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্র জানায়, মাঠে ধান প্রায় এক সাথে পেকে যায় তাই কর্তনের সময় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। বোরো ধান কর্তনের সময় আগাম বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। শ্রমিক সংকট থাকায় দ্রুত কর্তন, মাড়াই ও ঝাড়াই করা সম্ভব হয়না। কৃষকের এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার খামার যান্ত্রিকীকরণের উপর গুরুত্ব প্রদান করে কার্যক্রম গ্রহন করেছে। ধান কর্তন যন্ত্র রিপার, কম্বাইন্ড হারভেষ্টার ও মাড়াই যন্ত্রে ৫০/৭০% ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রমে উদ্যেক্তারাও এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মো: রফিকুল ইসলাম, আধুনিক কৃষি খামার, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৫টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার( ৩টি জাপানী ও ২টি কুরিয়ান) ক্রয় করে মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার করে আসছে। কৃষকরা আধুনিক যন্ত্র দিয়ে ধান কাটার জন্য আগ্রহী হচ্ছে ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে আধুনিক কৃষি খামার তার কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে এপর্যন্ত ২৭৫ হেক্টর বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রতিটি মিশিনে ১০ হেক্টর বোরো ধান কর্তন করা হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমির ধান একই সাথে কর্তন, মাড়াই ও ঝাড়াই করতে খরচ নেওয়া হয় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। শ্রমিক দিয়ে এ কাজ করতে খরচ পড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। এতে কৃষকের লাভ হয় বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। আধুনিক কৃষি মটরস এর মালিক মো: রফিকুল ইসলাম জানান কম্বাইন্ড হারভেষ্টারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ জেলায় ২১ টি রিপার দিয়ে ধান দ্রুত কর্তন চলমান রয়েছে। কম্বাইন্ড হাভেস্টার দ্ধারা ধান কর্তন করার ফলে শ্রমিক সংকট নিরুসন, দ্রুত ধান কর্তন ও প্রাকৃতিক দূযোর্গ মোবাবেলা সম্ভব হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকমোঃ আবু নাছের জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এ বছর ১ লক্ষ১১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৫৭৬ হেক্টর বেশি। ইতিমধ্যে হাওড় এলাকায় শতভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। হাওড় ভবর্হভূত এলাকায় প্রায় ৪৫% জমি কর্তন করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ধান কর্তন ,মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে ।