বুধবার, ১০ই মে, ২০১৭ ইং ২৭শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের যত ইতিহাস

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৪, ২০১৭

 

স্পোর্টস ডেস্ক :আগামী ১ জুন স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রায় দশ বছর পরে আবারো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০০ সালে, বাছাইপর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়ে মূল টুর্নামেন্টে খেলার আগেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এরপর ২০০৬ সালের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলো টাইগাররা।

এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে (বাছাইপর্ব এবং মূল টুর্নামেন্ট) মোট আটটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জয় পেয়েছে কেবল একটি। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশের হয়ে এই আটটি ম্যাচেই খেলেছিলেন দুইজন ক্রিকেটার।

এদের একজন সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট এবং আরেকজন সাবেক স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ রফিক।

চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের দলীয় এবং বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত কিছু সাফল্য:

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রান ২৬৫/৯। ২০০৬ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে এই রান করেছিলো টাইগাররা। তবে ৩০৩ রান তাড়া করতে গিয়ে শেষমেশ এই ম্যাচে হেরে যায় তৎকালীন বাশার বাহিনী।

বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ওপেনার শাহরিয়ার নাফিসের। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন, যা বাংলাদেশিদের হয়ে সর্বোচ্চ।

উল্লেখ্য, সেই ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে আনে লাল-সবুজের দল। এছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে মোট ১৬৬ রান করেন শাহরিয়ার। এটাও বাংলাদেশিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ।

এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আফতাব আহমেদের সাথে তার ৮৫ রানের জুটিটাও ওই মঞ্চে টাইগারদের জন্য এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।আর পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশা ব্যাটসম্যানরা চারটি অর্ধশতক হাকিয়েছেন। শাহরিয়ার নাফিস, সাকিব আল হাসান, আফতাব আহমেদ এবং জাবেদ ওমর প্রত্যেকেই একটি করে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন।

বোলিংয়ে মোট আট ম্যাচ খেলে ছয়টি উইকেট নিয়েছেন সাবেক স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ রফিক। তবে ২০০৬ সালের টুর্নামেন্ট খেলে মোট চারটি উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক, যা এক আসরে বাংলাদেশি কোনো বোলারের জন্য সর্বোচ্চ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতা ম্যাচে সাকিব আল হাসান ১৮ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নিয়েছিলেন। বাংলাদেশিদের হয়ে সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগার হিসেবে এখনো শীর্ষে আছে এই রেকর্ড।