অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধরা পড়লেন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা
পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলায় এক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগে একাধিকবার এ জাতীয় অভিযোগ আসলেও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার তাকে হাতে নাতে আটক হয়।
জানা যায়, স্বরূপকাঠি উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মাশউদ করিমের বিরূদ্ধে একাধিকবার নারীঘটিত নানা অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পকের অভিযোগ পাওয়া যায়। একজন শিক্ষা কর্মকর্তার এমন আচরণ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচলা শুরু হয়। এ নিয়ে স্থানীয় চাপের কারণে মাশউদ করিম নিজেই বদলির আবেদন করে অন্যত্র বদলি হন। কিন্তু বেশ কিছু দিন আগে তার বদলির আদেশ হলেও তিনি কর্মস্থল ত্যাগ না করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকেন।
গত রবিবার রাত ১২টার দিকে এক শিক্ষিকার বাসা থেকে স্থানীয়রা মাশউদ করিমকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে। অভিযোগ উঠে, রাতেই বড় ধরনের উৎকোচের বিনিময় অনেককে ম্যানেজ করে ছাড়া পায় মাশউদ করিম। তবে থানা পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে দাবি করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, মাশউদ করিমকে আটক করার পরে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সালেহা খাতুন জানান, সহকারি শিক্ষা অফিসার মাশউদ করিমের বিষয়টি ৩০ এপ্রিল রাতেই জানতে পাই। কিন্তু তিনি ওইদিন অফিস থেকে রিলিজ নিয়ে গেছেন।
স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, মাশউদ ঘটনার জন্য মাফ চেয়েছেন। তাকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।