জোলি প্রথম সন্তানকে দত্তক নেন ক্যাম্বোডিয়া থেকে!
---
বিনোদন ডেস্ক: ক্যাম্বোডিয়া কিভাবে তাঁর জন্য জেগে উঠার মত ঘটনা ছিল। বিবিসির সাথে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এমনটাই বলেছিলেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত জোলি প্রথম ক্যাম্বোডিয়া সফর করেন ২০০১ সালে। প্রথম সন্তান ম্যাডক্সকে দত্তক নেন ক্যাম্বোডিয়া থেকে।
সেসময় ‘লারা ক্রফ্ট: টুম্ব রেইডার’ সিনেমার শুটিং করেন দেশটিতে। পরে সেখান থেকেই প্রথম সন্তান ম্যাডক্সকে দত্তক নেন।
তিনি বলেন, আমি এই দেশে এসে এখানকার মানুষের প্রেমে পড়ে যায়। আমি দেশটির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি, তখন মনে হয়েছিল এই বিশ্ব সম্পর্কে আমি কত কম জানি। এই দেশটি আমার জন্য জাগরণ। আমি সবসময় এই দেশটির কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো, আমার মনে হয় না দেশটি আমাকে যা দিয়েছে তার সমপরিমাণ আমি ফেরত দিতে পারবো।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রাড পিটের সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর এই প্রথম জনসম্মুখে এলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
ক্যাম্বোডিয়ার অ্যাংকর ওয়াট টেম্পল কমপ্লেক্স শনিবার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের আয়োজন করে ছবিটির পরিবেশনা সংস্থা নেটফ্লিক্স।
জোলি এবং তাঁর ছয় সন্তান ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্বোডিয়ার রাজা নরোডম শিহামনি। তিনি ২০০৫ সালে এই অভিনেত্রীকে ক্যাম্বোডিয়ার নাগরিকত্ব দেন।
জোলি বলেছেন “যুদ্ধটি হয়েছে ৪০ বছর আগে। সেই সময় মানুষদের সাথে আসলে কি হয়েছিল সেটা সঠিক ভাবে বোঝা যায়নি। আমি আশা করছি সিনেমাটি দেশটির মানুষকে যুদ্ধ সম্পর্কে কথা বলতে সাহায্য করবে। কারণ অনেক বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি আছেন যারা তাদের সন্তানদের সেই গল্পগুলো বলেন না” বলছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বিবিসি।