কাঠের হাট : বাঞ্ছারামপুরের শান্তির বাজার
---
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শেষ পূর্ব প্রান্ত ফরদাবাদ ইউনিয়ন।এশিয়ার সর্ববৃহত ওয়াই ব্রীজ এই ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে । ব্রীজের কাছেই রয়েছে শান্তির বাজার নামে রয়েছে কাঠের হাট।যে হাটে কাঠ ছাড়া আর অন্যকোন পণ্য বেচাবিক্রি হয়না।শান্তির বাজারের অবস্থান হলো,তার পূর্বদিকে কুমিল্লার মুরাদনগর ও দক্ষিণে হোমনা উপজেলা। প্রায় ৪ যুগ ধরে ৩ উপজেলার ত্রিমোহনী সম্মিলনের ব্যবসা কেন্দ্র।আর সেটি গড়ে উঠেছে ওয়াইব্রীজ (ত্রিমুখী ব্রীজ) এবং তিতাস নদী অববাহিকাকে কেন্দ্র করে। উল্লেখিত ৩ টি উপজেলাই নদী বেষ্টিত বিধায় নৌ-চলাচল সুবিধা জনক রুটের কারনে হরদম ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে ক্রেতা-বিক্রেতারা কাঠ কিনতে আসছেন।
৩ উপজেলায় মিলে রয়েছে মোট প্রায় ৩৬টি ইউনিয়ন।৩৫০টি গ্রাম।১২ লাখ মানুষ।এই সবকিছুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাঞ্ছারামপুরের শান্তির বাজারের কাঠের হাট।হাটটির ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য হলো বিক্রিত প্রায় সব কাঠ আসে নৌ পথে।বাদবাকীগুলো ওয়াইব্রীজকে কেন্দ্র করে নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থায়।হাটটিতে প্রায় শতাধিক পাাইকার দিনরাত বেচাকেনা করছেন।কাঠের ব্যবসায়ী আউয়াল মিয়া জানান,আমাদের এখানে পাইকারদের থাকা-খাওয়া ও নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর থেকে আসা জয়নাল আবেদিন জানান, তিনি একটি নতুন চৌচালা ঘড় বানাবেন সেই জন্য নদী পথে ট্রলার নিয়ে বাঞ্ছারামপুরে শান্তির বাজারে এসেছেন কাঠ কিনতে। কাঠের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসায়ীদেরে কেউবা এসেছেন নারায়নগঞ্জ,নরসিংদী,কুমিল্লা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চাদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে। দৈনিক প্রায় লক্ষ টাকার কাঠ বেচাকেনা হয় এই হাটে।
শান্তির বাজার কাঠের হাটে লাগোয়া রয়েছে তিতাস নদীর প্রধান মোহনা।আর এটিকেই ক্রেতা বিক্রেতাদের লনদেনের সবিধাজনক অবস্থায় পৌছে দিয়েছে। ফরদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম বলেন ওয়াই ব্রীজ উদ্বোধনের পর ও বাঞ্ছারামপুর আড়াইহাজার ব্রীজ নির্মান কাজ শেষ হলে শান্তির বাজার কাঠের হাট আরো জমজমাট হবে।