নির্বাচন কমিশনের প্রথম নারী কবিতা খানম
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনে প্রথম নারী হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন কবিতা খানম। প্রতিষ্ঠার সাড়ে চার দশক পর এই প্রথম কোনো নারী বাংলাদেশের এই সাংবিধানিক সংস্থাটিতে নিয়োগ পেলেন।
সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ সদস্যের যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন, তাতে একমাত্র নারী হিসেবে স্থান পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম।
নির্বাচন কমিশনে এর আগে ১১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ২৩ জন নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব পালন করলেও তাদের মধ্যে কোনো নারী ছিলেন না।
নির্বাচন কমিশনে ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত কবিতা খানম।
“এটাই প্রথম, এটা ইতিহাস। এর অংশ হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ”
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কবিতা খানম গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি ৩১ বছর বিচারিক দায়িত্ব পালন করেছি, আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব। সংবিধান ও আইনকে সমুন্নত রেখেই কাজ করব। ”
নওগাঁয় বাড়ি কবিতা খানমের। তার স্বামীও ছিলেন বিচারক। তিনি ২০১১ সালে মারা যান।
সংসদ, সরকার, বিচারালয়, বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনেও নারীর উপস্থিতির প্রত্যাশা কয়েক মাস আগে জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ে রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের যে সার্চ কমিটি করেন, তখনই স্পষ্ট হয়েছিল যে এবার একজন নারী নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকার হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কর্তৃত্বের তিনটি পদই নারীদের হাতে।
সংসদ নেতার দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। সংসদ উপনেতাও একজন নারী, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
সংসদের বাইরে থাকা বড় দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।