শুক্রবার, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৮শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

দুই মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডে ‘রাজীব’

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭

বগুড়া প্রতিনিধি : গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে ‘রাজীব গান্ধী’কে বগুড়ার শেরপুর ও শিবগঞ্জ থানায় জঙ্গি কার্যক্রম-সংশ্লিষ্ট দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪ আট দিনের ও জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-২ জাহাঙ্গীর আলমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত পরিদর্শক শাহজাহান আলী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল রাতে শেরপুর উপজেলার জুয়ানপুর গ্রামে জঙ্গিদের ভাড়া করা একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুজন নিহত হন। পরে সেখান থেকে হাতে তৈরি ২০টি গ্রেনেড, চারটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ও বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ উপাদান উদ্ধার করা হয়। এই বিস্ফোরণ মামলায় জাহাঙ্গীর আলমকে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪-এ হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ১৩ জুন শিবগঞ্জ উপজেলার ভাইয়েরপুকুর নামক এলাকায় জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে গোপন বৈঠক করছিল জঙ্গিরা। নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছে জেনে পুলিশ সে সময় অভিযান চালায়। জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্র ও জিহাদি বই উদ্ধার করে পুলিশ। এই মামলায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-২-এ জাহাঙ্গীর আলমকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার এসআই রাজু কামাল। সেখানে বিচারক মো. কামারুজ্জামান সাত দিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এই কার্যক্রমকে ঘিরে আদালত চত্বরসহ গোটা শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি টাঙ্গাইল থেকে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে ‘রাজীব গান্ধী’কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুরের বুথমাড়িয়া ঘাট এলাকায়। জাহাঙ্গীর আলম একাধিক ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। এগুলো হলো রাজীব গান্ধী, সুভাষ, টাইগার, আদিল, জাহিদ। জঙ্গিনেতা রাজীব গান্ধী হিসেবেই বেশি পরিচিত তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী গুলশান হামলায় অংশগ্রহণকারী মো. খায়রুল ইসলাম পায়েল ওরফে বাঁধন ও মো. শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশকে নব্য জেমএবিতে ঢোকান। পরে তাঁদের হামলার জন্য বাছাই করেন। শোলাকিয়া হামলায় জড়িত শফিউল ইসলাম ওরফে ডনকেও তিনি প্রস্তুত করেছিলেন। নব্য জেএমবিতে যোগ দেওয়ার আগে রাজীব গান্ধী জেএমবির সুরা সদস্য নজরুল ইসলামের সহযোগী ছিলেন।

এ জাতীয় আরও খবর