শুক্রবার, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৮শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

আবদুল লতিফ হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচ আসামিসহ ২৬ জন খালাস

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আবদুল লতিফ নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচ আসামিসহ ২৬ জনের সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে এই রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আ্যডভোকেট রাবেয়া ভূঁইয়া ও ইব্রাহিম মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল। এ ছাড়া রাষ্ট্রনিযুক্ত হিসেবে ছিলেন আইনজীবী বাহার উদ্দিন আল রাজী।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, আবদুল লতিফ হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২১ জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছিলেন। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় দণ্ডপ্রাপ্তদের খালাস দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সুরতহাল প্রতিবেদন, সাক্ষীদের বক্তব্যে অসঙ্গতি ও গরমিল থাকায় আদালতের কাছে অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মর্দাসদি গ্রামে আবদুল লতিফ নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত লতিফের ভাই আবদুল হান্নান ২৪ জনের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন। ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের আদালত এ মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।

ওই বছরই রায় কার্যকরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। দীর্ঘদিন এ বিষয়ে শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

আসামিদের আইনজীবী বাহার উদ্দিন আল রাজী সাংবাদিকদের জানান, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পাঁচজনের মধ্যে ওমর আলী মারা গেছেন। বাকি চারজন জীবিত আছেন। তাঁরা হলেন মো. বারেক, মো. সোহেল ওরফে শফি, আফাজউদ্দিন ও শওকত আলী।