রবিবার, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৩শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

‘নিয়ম মেনে ঋণ বিতরণ করলে কোনো কর্মকর্তা বিপদে পড়বে না’

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, ব্যাংকিং খাতের জন্য সুশাসন ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালী হওয়া জরুরি। ব্যাংকগুলোর মূল কাজ ঋণ বিতরণের মাধ্যমে ব্যবসা করা। নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে হবে। তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষকে ভয় পেতে হবে না।

আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গর্ভনর বলেন, রূপালী ব্যাংক লোকসান ও লোকসানী শাখা কমিয়েছে। খেলাপী ঋণ আদায়ে সচেষ্ট রয়েছে। চলতি বছর তারা ঘুরে দাঁড়ানোর বছর হিসেবে কাজ করছে। ৫৬২টি শাখার মধ্যে ৫১০টি শাখায় কোর ব্যাংকিং সল্যুশনের (সিবিএ) আওতায় এনেছে।

তিনি আরও বলেন, কৃষি খাতের মত এসএমই খাতে ঋণ প্রদান বাধ্যতামূলক করার চিন্তা করা হচ্ছে। ঋণকে কেন্দ্রীভূত না করে এসএমই খাতে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদের প্রশিক্ষণকেই জামানত হিসেবে বিবেচনা করে তাদেরকে ঋন প্রদান করতে হবে।

সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান, চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক, পরিচালক অরিজিত চৌধুরী, অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদ, আব্দুল বাসেত খান প্রমুখ।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, দেশের সরকারি ব্যাংকগুলোতে প্রচুর অলস টাকা পড়ে আছে। অথচ গ্রামের মানুষ ঋণ পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ঋণ পাচ্ছেন। তারা বাধ্য হয়ে ২৫ শতাংশ সুদে ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা অন্য সরকারি কর্মচারীদের মত আচরণ করছেন। কিন্তু এটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রতিযোগীতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হয়। তাদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কাজ দ্বিগুণ হারে করছেন বলে মনে হয় না মন্তব্য করেন ইউনুস রহমান।

রুপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তারা চাইলে সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন। নিজেদের একগুয়েমির কারণে হোক বা অন্যকোন উদ্দেশ্যে ব্যাংকের কর্মীরা ভুল করেছেন। নিজেদেরকেই তা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, বড় ঋণ খেলাপী যতই প্রভাবশালী হোক তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যা করণীয় করতে হবে। আগে রুপালী ব্যাংকের অফিসে অন্য অফিসের লোকজন লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকতো। ইউনিয়নের নামে ঋণ বিতরণ, কর্মী নিয়োগ, পদোন্নতি বদলি ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলতো। এগুলো অনেকাংশে বন্ধ করা গেছে।

আতাউর রহমান প্রধান বলেন, রুপালী ব্যাংকে আগে খেলাপী ঋণকে নিয়মিত দেখিয়ে ও খেলাপী ঋণের বিপরীতে প্রভিশনিং না করে মুনাফা দেখানো হয়েছে। এবং গত ২০১৫ সালে মুনাফা হয়েছে বলে মিথ্যা রিপোর্ট সরকারকে দিয়ে তার বিপরীত কর পরিশোধ করে ব্যাংকটির ক্ষতি করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে সবার আগে সঠিক হিসাব করেছি।

এ জাতীয় আরও খবর

  • থার্টিফার্স্ট নাইটে সারা দেশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে : আইজিপিথার্টিফার্স্ট নাইটে সারা দেশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে : আইজিপি
  • নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়: বাংলাদেশে শ্রমিকদের দমন-পীড়ন
  • বইমেলা ঘিরে ছাপাখানায় ব্যস্ততাবইমেলা ঘিরে ছাপাখানায় ব্যস্ততা
  • বাংলায় রায় দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে : প্রধান বিচারপতিবাংলায় রায় দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে : প্রধান বিচারপতি
  • রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণভর্তি জাহাজ পাঠালো মালয়েশিয়া
  • বিনা বিচারে আটক রাখা মানবাধিকার লংঘন: প্রধান বিচারপতি