বাঞ্ছারামপুরে টাকার বিনিময়ে প্রবেশপত্র !
বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নগদ অর্থের বিনিময়ে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়ার গুরুতর ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্কুলভেদে এই অর্থ ৪’শ হতে ৮’শত টাকা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছেন অভিযুক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আগামীকাল(২ ফেব্রুয়ারি) শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে অনেকটা বাধ্য হয়েই গত শনিবার হতে পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র উত্তোলন করছেন বলে খোজ নিয়ে জানা গেছে।
উপজেলার স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ শাহ রাহাতআলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানায়,পরীক্ষার ফর্ম পূরনের সময় তারা ৩ হাজার ৫’শ টাকা করে দিয়েছেন।এখন আবারো প্রবেশপত্র ফি দিতে হচ্ছে।টাকা না দিলে প্রবেশপত্র ইস্যূ হচ্ছে না।তাদের স্কুল থেকে এ বছর ৩ শতাধিক পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিচ্ছে।
এবিষয়ে শাহরাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.করীম জানায়, “প্রবেশপত্রের সাথে এতো না…৩ হতে ৫’শ টাকা রাখা হচ্ছে।আবার অনেককের কাছ থেকে মোটেও রাখা হচ্ছে না।এই টাকা দিয়ে শিক্ষকদের দৌড়াদৌড়ি ও পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যয় মিটানো হবে”
রুপুসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক অভিভাবক বলেন,তার নিকট আত্বীয় এ বছর পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনতে যেয়ে ৬’শ টাকা দিতে হয়েছে।
অভিযোগ নিয়ে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদের সাথে মোবাইলে কথা বললে,তিনি এর কোন সদউত্তর দিতে পারেননি।এছাড়া মরিচাকান্দী ডিটি একাডেমী ও বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫’শ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আবু তৌহিদ বলেন,-‘প্রবেশপত্রের বিনিময়ে টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই।যদি কেউ নিয়ে থাকেন,সেটি অন্যায় করেছেন।অভিযুক্ত স্কুলগুলোকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন,‘এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সময়ই প্রবেশ পত্রের টাকা কেটে রাখা হয়।নতুন করে নেয়াটা অবৈধ।বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।’