নাসিরনগরে বিড়ম্ভনার শিকার গ্রামীণ ব্যাংক গ্রাহকরা
নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গ্রামীন ব্যাংক গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত ও ঋণের টাকা উত্তোলণ করতে গিয়ে বিড়ম্ভনার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায়ই ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাংকে বসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের যেন দেখার কেউ নেই । এই চিত্র বিরাজ করছে নাসিরনগর গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় । উপজেলার সদরের গ্রামীণ ব্যাংকে সরেজমিন গিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা গ্রাহক ও ঋণ উত্তোলণ কারী নারী-পুরুষের ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছেএবং তাদের অভিযোগের কথা ও শুনা যায়। ঋণ তুলতে আসা বীনা রানী জানান, দুপুর আড়াই টার দিকে গ্রামীণ ব্যাংকে আসলেও বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সামনে ঋণ তুলার টাকার জন্য অপেক্ষা করছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তারা না থাকায় এসব অসহায় ও নিরীহ নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। কয়েকজন ভুক্তভোগী জানায়, তাদের জমাকৃত টাকা উত্তোলণ করতে এসে ব্যাংকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে কিছু জানতে চাহিলে তারা জানায় স্যাররা খাবারের জন্য বাসায় গেছেন। ফান্দাউক গ্রামের মোঃ সাজান মিয়া জানান তিনি উক্ত ব্যাংকে একটি ডিপিএস খোলেন। বেশ কয়েক কিস্তি টাকা জমা দিলে ওবইয়ে মাত্র দুই কিস্তি টাকা লেখা হয়। এই নিয়ে ম্যানেজারকে জানালে সে পূর্বের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে প্রধান কার্যালর্য়ে লিখিত অভিযোগ করার কথা বলে। ম্যানেজারের কথা মত অভিযোগ করলে পরে তার ঋণ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে লিখিত ভাবে অভিযোগ প্রত্যাহার করলে তাকে ঋণের আশ্বাস দেয়। নাসিরনগর গ্রামীণ ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক নিপুল রায় জানান,দুপুরের খাবারের জন্য এক ঘন্টা সময় থাকলে কাজের ফাঁকে যখন সময় পাই তখনই খেতে যান। এসময় গ্রাহক বা ঋণ তুলতে আসা লোক অপেক্ষা করতে হয়। তবে এবিষয়ে তিনি কোন হয়রানীর কিছুই দেখছে না বলেও দাবী করেন।