বৃহস্পতিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২০শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে উপচেপড়া ভিড়

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ৩০, ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :প্রতিবারের মতো এবারো কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ পদ্মাপারের বাংলাদেশকে ঘিরে। বইমেলা প্রাঙ্গণের একেবারে মাঝখানেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট জুড়ে এই প্যাভিলিয়নের আকর্ষণের মাত্রা এবার আরো বেড়েছে।

দিনাজপুরেরর কান্তজিও মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে এবারের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। মোট ৩১ টি প্রকাশনা সংস্থা এবারের বই মেলায় অংশ গ্রহণ করছে।

এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ৫টি। এগুলো হলো, বাংলা একাডেমী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, নজরুল ইন্সিটিউট এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে, মাওলা ব্রাদার্স, অনন্যা প্রকাশনী, নান্দনিক, সময়-এর মতো নামীদামী সব প্রকাশনা সংস্থা।

প্যাভিলিয়নে ঢুকেই চোখে পড়ল হুমায়ূন আহমেদ, আনিসুজ্জামানসহ বিশিষ্ট কবি-লেখকদের টানে লম্বা লাইন। হাতে হাতে ঘুরছে ‘আমি বিজয় দেখেছি’, নির্বাচিত পাঁচটি উপন্যাস, মিসির আলি সমগ্র, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন কথা’, ‘হে জ্যোতির্ময়’, লালনসমগ্র, রান্নার বইসহ সেরা বইগুলো।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেও মজেছে বইপ্রেমীরা। হাতে হাতে ঘুরছে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা, বিভিন্ন লেখা। প্রতিটি স্টলেই উপচে পড়া ভিড়। দম ফেলার ফুরসত নেই ঢাকার প্রকাশকদের। পঞ্চম দিনেই যা ভিড় দেখা গেছে, তাতে ঢাকার প্রকাশকরা অত্যন্ত খুশি। যত দিন যাবে, ভিড় যে বাড়বে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

মাওলা ব্রাদার্স’এর কর্ণধার কুমার দত্ত বলেন, আমাদের স্টলে প্রবন্ধ, সিরিয়াসধর্মী ও রেফারেন্স বই’ কেনার চাহিদা বেশি। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় নোট বাতিলের কোনো প্রভাব এবার তাদের স্টলে পড়েনি বলেই জানিয়েছেন কুমার দত্ত।

তিনি বলেন, চাহিদার কথা মাথায় রেখে যথেষ্ট পরিমাণে খুচরো রুপির মজুদ রাখা হয়েছে। তাছাড়ার ক্রেতারাও আমাদের সমস্যাটা বুঝতে পারছেন যে বিদেশি প্রকাশনা সংস্থা হওয়ার কারণে আমাদের পক্ষে ক্যাশলেস (পেটিএম, এটিএম) পরিসেবা দেয়া সম্ভব নয়। সেটা জেনেই তারাও আমাদেরকে খুবই সহায়তা করছেন।

রানু ভট্টাচার্য নামে এক পাঠক বলেন, এখানে এসে সুন্দরবনের ওপর লেখা একটি বই কিনলাম। কারণ এপারের সুন্দরবন সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের সুন্দরবন সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। ওপারে কী কী আছে সেটা এবার জানা যাবে। তাছাড়া এই প্যাভিলিয়নটিতে এত মানুষের ভিড় দেখেও খুব ভালো লেগেছে।

উল্লেখ্য গত ২৫ জানুয়ারি কলকাতার ইএমবাইপাশের ধারে মিলন মেলা প্রাঙ্গণে ৪১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করেন কোস্টারিকার বিশিষ্ট লেখক রোক্সানা পিন্তো লোপেজ। পরদিন ২৬ জানুয়ারি বইপ্রেমীদের জন্য মেলা খুলে দেয়া হয়।