আশুগঞ্জে র্যাবের অভিযানে চাল আটক ২৪ ঘন্টায়ও মামলা হয়নি,তদন্ত কমিটি
---
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চাল বাছাইয়ের কলে সাড়ে ৪৭ মেট্রিক টন সরকারী চাল পাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। এদিকে এঘটনায় ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোন মামলা হয়নি। গত রাত ৮ টা পর্যন্ত থানায় খোজ নিয়ে জানা গেছে এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা হয়নি। বৃহস্পতিবার র্যাব চাল পরিবহন করে আনা ৩ ট্রাকের চালককে আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদিকে ঘটনার তদন্তে জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে করা হয়েছে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুগঞ্জের বাহাদুরপুর এলাকার মেসার্স উসমান গণি এগ্রো ফুড নামের একটি চাল বাছাইয়ের মিল থেকে এসব চাল উদ্ধার করে র্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। মিলের সামনে দুটি ট্রাক ও ভেতরে একটি ট্রাকের মধ্যে ছিলো সাড়ে ৪৭ মেট্রিক চাল। চালগুলো খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তা ভর্তি ছিলো। র্যাব এসময় তিন ট্রাকচালক ইয়াছিন মিয়া (২০), জয়নাল আবেদিন (৩৫) ও হানিফ মিয়া (৩৫)কে আটক করে। আটক ট্রাক চালকরা তখন জানায়- নাঈম নামে আশুগঞ্জের স্থানীয় এক চাল ব্যবসায়ী তাদেরকে খাদ্য গুদাম থেকে এসব চাল মেসার্স উসমান গণি এগ্রো ফুড নামের ওই চাল বাছাইয়ের মিলে নিয়ে যেতে বলেছে।
তবে চাল নিজেদের নয় বলে দায় এড়াচ্ছে আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য অফিস ও গুদাম কর্মকর্তারা। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু কাউসার বলেন- চালগুলো আমাদের গুদামের নয়। এগুলো মিলে পাওয়া গেছে। চাল আমাদের এরকম কোথাও কোন কাগজপত্র নেই। এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমীরুল কায়সার বলেন- র্যাবের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি স্পটে যাই। বাহাদুরপুরে একটি মিলের বাইরে সরকারী বস্তায় ভর্তি ৩ ট্রাক চাল পাওয়া যায়। চালগুলো খাদ্যগুদাম থেকে এসেছে বলে ট্রাক চালকরা জানায়। অন্যদিকে গুদাম কর্মকর্তা জানিয়েছেন এটা তাদের গুদামের চাল না। ৩ টি ট্রাকের কোনটির নাম্বারই তাদের রেজিষ্টারে এন্ট্রি নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন সরকারী এই বস্তাগুলো খোলা বাজারে পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীরা এই বস্তাতে ভরে গুদামে চাল সরবরাহ করে। আবার এই বস্তাতেই চাল গুদাম থেকে বের হয়। এখন তদন্তে বিষয়টি বুঝা যাবে। র্যাব ৩ ট্রাক চালককে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানান তিনি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাজ্জাদ হোসেন জানান- বিষয়টি তদন্তে তারা ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। পুলিশের পাশাপাশি তারা নিজেরাও তদন্ত করবেন।