বিজয়নগরের কাদর খালের লীজ বাতিলের সুপারিশ, রক্ষা পাবে কোটি কোটি টাকার ফসল
---
আমিরজাদা চৌধুরী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া॥ দু’দফায় সরজমিন পরিদর্শন করেছে তদন্ত কমিটি। বিজয়নগরের কৃষি অফিসার কাঁদরখালে লিজ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় খাল এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে কাঁদরখালের লিজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত সপ্তাহে এ সংক্রান্ত সুপারিশ পেশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, খালটির বর্তমান লিজ গ্রহীতাকে না দিয়ে বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদকে দেয়া যেতে পারে। এতে স্থানীয় কৃষক উপকৃত হবে। অন্যদিকে ভবিষ্যতে কৃষির ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষা পাবে। এছাড়া একাধিক সুপারিশও পেশ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কাঁদর খাল লীজ দেয়ারয় অন্তত ৭৫০০ একর জমি পানির অভাবে শুকিয়ে যায়। কারন উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের সেমড়া গ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া কাঁদর খালে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়া হয়। এতে করে এ এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলী জমি পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দেয়। সূত্র জানায়, প্রতি এক কানি জমিতে ১৮ থেকে ২০ মন ধান উৎপাদন হয়। এক একর জমিতে কমপক্ষে ৬০মন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। সে হিসেবে ৭ হাজার ৫শ একর জমিতে অন্তত সাড়ে ৪ লাখ মন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। কিন্তু খালটি লিজ দেয়ায় বিপুল পরিমান ফসলী জমিতে পানি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির আশংকা করা হয়। অন্তত সাড়ে ৪ লাখ মন ধান কম উৎপাদন হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশংকা করছেন। স্থানীয়রা জানান, মাত্র ৫৮ হাজার ৬ শত টাকার বিনিময়ে লিজ দেয়ায় সংশ্লিষ্ট কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
উপজেলার সেমড়া, তালতলা, ফতেহপুর, বুল্লা, মেরাসানী, গাছতলা, গোপালপুর, মিঠাপুকুর, এখতারপুর, পাইকপাড়া, মেঘশিমুল, বড়চাল, হাজীপুর, হাতুড়াপাড়া এবং বুধন্তি ইউনিয়নের আংশিক সহ আশপাশ গ্রামের বাসিন্দারা কৃষি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়।