সিলেটে গিয়ে সাক্ষ্য দেবেন না খাদিজা
নিউজ ডেস্ক : কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য দিতে সিলেটে আসবেন না সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস। তিনি এখন সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ বুধবার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে নার্গিসের বাবা মাসুক মিয়া বলেন, চিকিৎসকরা নার্গিসের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে জানিয়েছেন তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো না। তার শরীরে এখনও দিনে বেশ কয়েকবার থেরাপি দিতে হয়। চিকিৎসকের দেওয়া পত্র নিয়ে সরকারি পিপির মাধ্যমে আদালেত সময়ে চেয়ে আবেদন করা হবে। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি বলেন, ৩৭ জন সাক্ষির মধ্যে ইতোমধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। খাদিজাসহ অবশিষ্ট পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করেন আদালত। তবে যদি ওই দিন খাদিজা আদালতে না আসে তাহলে অন্যান্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম সিলেট এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। প্রথমে তাকে সিলেটে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ভোরে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় আনা হয় ও স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৫ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সোমবার ২৮ নভেম্বর নার্গিসকে সিআরপিতে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ওই ঘটনার পরপর বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। আর এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর অসুস্থ নার্গিসের চিকিৎসাভার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৪ অক্টোবর এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে শাহপরান থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় বদরুলকে একমাত্র আসামি করা হয়। এ মামলায় বদরুলকে গ্রেফতার দেখানো হলে পরদিন আদালতে বদরুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলা হওয়ার এক মাস পাঁচ দিন পর মাথায় মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ গত ৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোপত্রের শুনানি শেষে তা গৃহীত হলে ২৯ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেন আদালত। ওইদিন সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে মামলার একমাত্র আসামি বদরুল আলমকে হাজির করা হয়। আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত বদরুলের সামনেই অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়।