জামায়াতের সঙ্গ বিএনপিকে অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে-এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি
নিজেস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি এম তাজুল ইসলাম বলেছেন, তিনি যদি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়েন তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ না করলে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহান বিষয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শহেরর ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সপ্তাহব্যাপী এ বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখনই খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশটা আমাদের সকলের, আপনি যে মন্ত্রণালয় চান আপনাকে সেই মন্ত্রণালয় দেয়া হবে। তিনি (খালেদা জিয়া) সেই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে হরতাল-অবরোধ ডাকলেন। কিন্তু তার সেই হরতাল-অবরোধে সাধারণ মানুষ কোনো সাড়া দেননি।
তিনি বলেন, এখন খালেদা জিয়া বলছেন তাকে সংলাপের জন্য ডাকা হলে তিনি আসবেন। কিন্তু এখন আমরা উনাকে কি জন্য ডাকবো? উনিতো জামায়াতের সঙ্গই ছাড়েন না। যদি উনি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান তাহলে সংলাপের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবেচনা করতে পারেন।
খালেদা জিয়ার জীবন ভুলে ভরা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তার জন্ম তারিখে ভুল, বিয়ের কাবিনে এক জন্ম তারিখ আবার ভোটার তালিকায় আরেক জন্ম তারিখ। এসএসসি পরীক্ষায়ও দিয়েছেন আরেক জন্ম তারিখ। তিনি সারাজীবন যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সব সিদ্ধান্তই ভুল।
বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে যদি ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের সদস্য হতে চায় এবং ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশ রূপান্তরিত হতে চায় তাহলে শেখ হাসিনাকে দরকার। এজন্য শেখ হাসিনাকে আরও দুই দফা ক্ষমতায় রাখতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অমৃত লাল সাহার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দফতর) রাজন কুমার দাস, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমানুল হক সেন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফিতা কেটে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদ্বোধন করেন ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। পরে ঐতিহাসিক সেই ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানের সুরে সুরে শুরু হয় বিজয় মেলার মূল আনুষ্ঠানিকতা। এরপর অতিথিবৃন্দ ‘মুক্তিযদ্ধের বিজয় মেলা-২০১৬’ এর স্মারক উন্মোচন করেন।